কাপ্তাই প্রতিনিধি: চন্দ্রঘোনা মিশন এলাকায় বসবাসরত বিশিষ্ট অভিনেতা, নাট্যকার ও নাট্য পরিচালক জন অশোক বাড়ৈ আর নেই। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। মৃতের বড় ছেলে আইজেক ঋষি বাড়ৈ বলেন, গত ৫ দিন আগে বাবাকে চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। তিনি ডায়াবেটিস, হার্ট, প্রেসার সহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। গত শুক্রবার বাবার অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি, সেখানে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টায় তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। শনিবার দুপুর ১ টায় ধর্মীয় কার্যাদি শেষে তাকে চন্দ্রঘোনা থানা ঘাট সংলগ্ন চন্দ্রঘোনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চ মন্ডলীর কবরস্থানে কবরস্থ করা হয়। এদিকে, অভিনেতা জন অশোক বাড়ৈ’র মৃত্যুতে রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুল হক, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাছির উদ্দীন, চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ প্রবীর খিয়াং, কাপ্তাই প্রেস ক্লাব সভাপতি কাজী মোশাররফ হোসেন, কাপ্তাই উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্ত, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সহ সভাপতি ও বিশিষ্ট অভিনেতা মোজাহেরুল ইসলাম, চন্দ্রঘোনা ভৈরবী শিল্পী গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী বাবু সহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সাংস্কৃতিক সংগঠন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। প্রসঙ্গতঃ স্বাধীনতা উত্তর চট্টগ্রাম বেতারে তিনি একজন নাট্য শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়। তিনি মঞ্চ ও বেতারে একাধারে একজন অভিনেতা, নাট্যকার ও পরিচালক হিসাবে তিন পার্বত্য জেলা সহ চট্টগ্রামের নাট্যাঙ্গনে দক্ষতার সাথে ৫ দশক ধরে কাজ করে আসছিলেন। তার রচিত ও পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটক “এবং অবক্ষয়” বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। এছাড়া উন্নয়ন, স্বাস্থ্য বিষয়ক এবং বিষয়ভিত্তিক নিয়ে তার রচিত নাটক ” আকাশ কুসুম, মেঘের আড়ালে, হেনা, বকুল কথা, টোকাই চাচা, নয়ন তারা, পড়তে যাবে পারুল আবার, রাজা ও ঋষি নাটক গুলো রচনার মাধ্যমে তিনি দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।