ডিসেম্বরের মধ্যে কালুরঘাট সেতু নির্মাণ শুরু না হলে পদত্যাগ

জাতীয় সংসদ শুধু ‘জি হুজুর’ বলার জন্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাসদের কার্যকরী সভাপতি মাইন উদ্দিন খান বাদল। গত ১০ বছর ধরে সংসদে কথা বলে এলেও তার প্রতিফলন হয়নি বলে অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করে এ মন্তব্য করেন। এসময় আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তার নির্বাচনি এলাকা চট্টগ্রামে কালুরঘাট সেতু নির্মাণের কার্যক্রম শুরু না হলে সংসদ থেকে পদত্যাগেরও হুমকি দিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যদের মর্যাদা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এই সংসদ সদস্য। স্পিকারকে বিষয়টি দেখার অনুরোধ করে তিনি বলেন, বহুবার বলেছি সংসদ সদস্যদের মর্যাদাটা দেখতে হবে। আপনি মন্ত্রী হবেন। আপনার প্রটোকল ৫ নম্বর। আর সংসদ সদস্যদের প্রটোকল সরকারি কর্মকর্তাদের নিচে দিয়ে দেবেন। হোয়াট ইজ দিস? মন্ত্রী হবেন ভালো থাকবেন, আর যারা সদস্য সংসদ সদস্য, তারা? সারা দেশে সাধারণ কর্মচারীদের সম্মানটা তারা পায় কিনা সেটা খোঁজ করে দেখুন।

একজন গৃহশিক্ষকের সঙ্গে কথোপকথনের উদাহরণ দিয়ে বাদল বলেন, ‘বকাউল্লা হয়ে যেখানে আছি সেখানে ১০ বছর বকছি। বকে কিছু হয়নি। আর গরিবুল্লাহর মতো সেদিকে তাকাই, ফ্যা ফ্যা করে তাকাই। মাঝে মধ্যে সুপারিশ আর নির্দেশ মোতাবেক আহা বেশ বেশ বেশ করি।’

আই উইল নট লেট বেয়ার ইট কালুর ঘাট সেতু নির্মাণ কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘কালুর ঘাট সেতু নির্মাণের জন্য অস্ট্রেলিয়া, তাইওয়ান ও বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে। ওদেরটা না মেনে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানও আবার এটা করেছে। এই প্রজেক্টের নির্মাণ খরচ হলো ১ হাজার ১৬৩ কোটি। এর মধ্যে জিওবি ৩৭৯ কোটি। বাকি পুরো টাকা দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। মাত্র ০.০১% সুদে চল্লিশ বছরে এই অর্থ পেমেন্ট করতে হবে। কিন্তু, কিছুই হলো না। এত কিছুর পরও বলবেন হাজার হাজার কোটি টাকার প্ল্যান পাস হচ্ছে। উন্নয়ন হচ্ছে। আমি বকা উল্লা আমার এলাকায় গিয়ে কী বলবো? ডিসেম্বরের মধ্যে এটার কোনও সদগতি না দেখি আই উইল গো আউট ফ্রম দ্য পার্লামেন্ট। আমি চলে যাবো। এ রকম অপমান নেওয়া যায় না। ৫০ হাজার লোক ওই রাস্তা দিয়ে ক্রস (যাতায়াত) করে প্রতিদিন। ৫০ হাজার লোক আমার মৃত মাকে গালি দেয়। আই উইল নট লেট বেয়ার ইট।’

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘কী রকম সরকার চলছে? যিনি মন্ত্রী হবেন তিনি উনার বাড়িতে কাজ নিয়ে যাবেন। তাহলে আমরা কী? কীসের জন্য এই সংসদ।’