আমি চট্টগ্রাম নগরকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর দেখতে চাই

মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, আমি চট্টগ্রাম নগরকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর দেখতে চাই। নগরবাসীকে সুন্দর নির্মল সকাল উপহার দিতে রাতে ময়লা অপসারণসহ আবর্জনা পরিষ্কারে আউটসোর্সিংয়ের ভিত্তিতে ২ হাজার পরিচ্ছন্ন সেবক নিয়োগ দিয়েছি।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৯৮৮ সালের প্রবিধানমালা (অর্গানোগ্রাম) বিগত সময়ে মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদন না হওয়ায় জনবল নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি এ প্রবিধান মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। যা শিগগির গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে। পদের অতিরিক্ত ১ হাজার ৪৬ জন নিয়োগের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। এ ছাড়া পরিচ্ছন্ন বিভাগকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) জাপান ইন্টারন্যাশনাল অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) বিশেষজ্ঞ দল টাইগারপাসে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে এলে এসব কথা বলেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

সাক্ষাৎকালে জাইকা বিশেষজ্ঞ দল আধুনিক পদ্ধতিতে কীভাবে কঠিন ও তরল বর্জ্য দুর্গন্ধমুক্ত পরিবেশে অপসারণ করা যায় সে বিষয়ে মেয়রকে অবহিত করেন।

ইতিমধ্যে জাইকা নগরের বর্জ্য অপসারণে চসিককে বেশ কিছু যানবাহন, যন্ত্রাংশ ও ভ্যানগাড়ি দিয়েছে। বর্তমান বিশ্বে ময়লা অপসারণের ক্ষেত্রে পরিবেশের নিরাপত্তা ও বায়ুদূষণের বিষয়কে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। আধুনিক বিশ্বে থ্রি-আর বা রিসাইকেল, রিডিউস, রিইউস এ তিন পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ রকম আরও আধুনিক পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম আলোচনায় উঠে আসে।

নগরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম, নতুন ল্যান্ড ফিল্ড, ওজন পরিমাপক এবং জাপান সরকারের অনুদানে বর্জ্য আর্বজনাবাহী গাড়িগুলো সম্পর্কে মেয়রের কাছ থেকে জানতে চান বিশেষজ্ঞ দল।

শিগগির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমসহ জাইকার অন্যান্য কার্যাদি দেখতে আরেকটি বিশেষজ্ঞ দল চট্টগ্রামে আসবেন বলে তারা মেয়রকে অবহিত করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানিং সেকশন ম্যানেজার মাশেহিরো সেইতো, প্রকৌশলী রিকেই কোদেনি, রিপ্রেজেন্টেটিভ কোমেই কউইচি, ওয়েস্ট কালেকশন সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার গোলাম সরওয়ার প্রমুখ।