আওয়ামী লীগই হচ্ছে আগুন সন্ত্রাসীদের দল

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপি হচ্ছে জনগণের দল। সন্ত্রাসী দল নয়। বরং আওয়ামী লীগই হচ্ছে আগুন সন্ত্রাসীদের দল। তারা ২০০৬ সালে ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে সাপের মতো লাঠি দিয়ে মানুষ মেরেছে। সোনারগাঁও হোটেলের সামনে ১৭ জন মানুষকে গান পাউডার দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। চট্টগ্রামে বিমান অফিস সহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা জালিয়ে দিয়েছিল। কাজেই আগুন সন্ত্রাসী দল হচ্ছে আওয়ামী লীগ।আওয়ামীলীগকে এখন দেশে বিদেশে বয়কট করা হচ্ছে। মন্ত্রীরা এখন উল্টাপাল্টা কথা বলে কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে চান এটা এখন জনগণ বুঝে গেছে। তাই কিভাবে ক্ষমতা থেকে বিদায় হবেন সেই চিন্তা করুন। অন্যথায় জনগণ গদি থেকে টেনে নামাবে। তিনি আগামী রবিবার মেহনতি শ্রমিক জনতার মহাসমাবেশে চট্টগ্রামবাসীকে অংশ নেওয়ার আহবান জানান। তিনি রবিবার (৯ জুলাই) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে আগামী ১৬ জুলাই চট্টগ্রাম বিভাগীয় মেহনতি শ্রমিক জনতার মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রস্ততি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে সরকারের সাথে সংলাপে কাউকে গ্রেফতার করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু ঐদিনই আমাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছিল। এভাবে ৫৫ জন এমপি প্রার্থীকে বিভিন্ন জায়গা থেকে গায়েবি মামলা দিয়ে গ্রেফতার করেছিল। এবারও তারা সেই পায়তারা চালাচ্ছে। আগামী নির্বাচনের ৬ মাস আগে থেকেই গায়েবি মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি শুরু করেছে। কোতয়ালী থানা যুবদলের সভাপতি নূর হোসেনকে কোন মামলার আসামী না হওয়া সত্ত্বেও গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছে। এসব অন্যায় অপকর্ম যারা করছে তাদের নাম কিন্তু জায়গা মতো পৌছে গেছে। সুতরাং সাবধান হয়ে যান। জনগণ এখন তাদের মৌলিক অধিকার ফিরে পেতে রাজপথে নেমে এসেছে। সব সময় জনগণেরই বিজয় হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, আওয়ামীলীগ আবারো কালো টাকা দিয়ে আরেকটা নির্বাচন করার পায়তারা করছে। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এদেশে কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সারাদেশে চলছে। সেটা আরো বেগবান করতে হবে। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এ অবৈধ সরকারের পতন হবে। আগামী রবিবার চট্টগ্রাম মহানগরে ভিন্ন ধরনের মেহনতি শ্রমিক জনতার মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সকল কৃষক শ্রমিক জনতা এতে অংশগ্রহন করবে। দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়ার যে আন্দোলন শুরু হয়েছে এই আন্দোলনকে বন্ধ করা যাবে না। জনগণের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারকে সরে যেতে হবে। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আওয়ামী লীগের অধীনে এই দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, শামসুল আলম, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, নিয়াজ মো. খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আশরাফ চৌধুরী, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. আজম, হাজী হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, আবদুল কাদের জসিম, জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর কৃষকদলের সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, শ্রমিকদলের সভাপতি তাহের আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সরকার, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হক, জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু প্রমূখ।