বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, দলের সপ্তম জাতীয় কাউন্সিলের প্রস্তুতি চলছে। নবনির্বাচিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্যকে নিয়ে আজ রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পন ও জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
ফখরুল বলেন, আমরা দলের জাতীয় কাউন্সিলের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইতিমধ্যে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম, পুনর্গঠনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে জেলা ও অঙ্গ সংগঠনগুলোতে।
নবনির্বাচিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্যসহ দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন মির্জা ফখরুল।
মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিতে কেনো স্থায়ী কমিটির নতুন সদস্য মনোনয়ন দেয়া হলো এবং বিএনপির কাউন্সিল নিয়ে আপনাদের পরিকল্পনা কি- এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে যেকোনো সময় নিয়োগ এবং সদস্য নির্বাচিত করা যায়। আর কাউন্সিলের প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি। এ জন্য ইতিমধ্যে আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আর জেলাগুলোতে আমরা পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছি।
স্থায়ী কমিটিতে আরও তিনটি শূন্যপদ আছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, সেগুলোতেও প্রয়োজনে যথাসময়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে আমরা দলের পক্ষ থেকে বিএনপির নবনির্বাচিত দু’জন স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও বেগম সেলিমা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে এসেছিলাম শ্রদ্ধা জানাতে।
এখানে এসে আমরা নতুন করে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে শপথ নিয়েছি যে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রের মুক্তির সংগ্রামকে আরও বেগবান করা হবে।
অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অতি দ্রুত নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছিল যে, দলের চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য কিংবা দলের অন্য সদস্য প্রয়োজন হলে মনোনয়ন দিতে পারবেন এবং নির্বাচিত করতে পারবেন। সে ক্ষমতা দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের দেয়া আছে। সে ধারাবাহিকতায় দলের স্থায়ী কমিটির শূন্য পদগুলোতে দু’জন আমাদের প্রবীণ নেতা, যারা ইতিমধ্যে দীর্ঘদিন দলের মধ্যে তাদের অবদান রেখেছেন, তাদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন, জনমনে তাদের প্রতি ইতিবাচক ভাবমূর্তি রয়েছে- তাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
এ সময় নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বেগম সেলিমা রহমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, মুজিবুর রহমান সারোয়ার, শামা ওবায়েদ, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, শিরিন সুলতানা, সাবেক ছাত্রনেতা নাজমুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ‘গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়া মুক্তি আইনজীবী আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠনের নেতারা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
শনিবার (২২ জুন ) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইট অ্যাঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারো কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
মিছিল শেষে বক্তৃতায় রিজভী আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাবন্দি করে রেখে শেখ হাসিনা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তাই খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিয়ে বর্তমান অবৈধ নিষ্ঠুর সরকার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
‘খালেদা জিয়ার ওপর বর্তমান স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর চলমান হয়রানি ও নিষ্ঠুরতার অবসান ঘটাতে জনগণ এখন চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে। গুম-খুন-ক্রসফায়ার-অপহরণ-ভয় ও শঙ্কার বর্তমান এই দুঃসময় অতিক্রম করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে দেশের জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে হলে ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য রাজপথে লড়াইয়ের কোনো বিকল্প নেই।’
বিক্ষোভ মিছিলে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজাসহ গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়া মুক্তি আইনজীবী আন্দোলনের আইনজীবী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন।











