আরেকটি যেনতেন প্রকারের নির্বাচনের পায়তারা করছে আঃলীগ

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপি এখন চালকের আসনে বসে আছে।জনগণ চাইলে এই টালমাটাল দুর্নীতিবাজ সরকারকে যেকোনো মুহূর্তে গদি ছাড়া করতে পারেন। কারন তাদের সাথে এখন জনগণ নেই। আছে কিছু দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী। এই দুই ভাগ লোক দিয়ে কখনো ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। তাই জনগণের প্রতি তাদের বিশ্বাস নাই বলেই আরেকটি যেনতেন প্রকারের নির্বাচনের পায়তারা চালাচ্ছে।তারা আবার নতুন করে গায়েবী আসমানী মামলা দেওয়া শুরু করেছে। এ মামলায় আসামী করা হচ্ছে যারা মৃত্যুবরণ করেছে, বিদেশে আছে এবং জেলে আছে তাদেরকে। ২০১৮ সালেও রাত্রে বজ্রপাত হয়েছে আর সকালে মামলা দিয়েছে বোমা ফাটিয়েছে বলে। আজকে জনগণের মৌলিক অধিকার নিঃশেষ হয়ে গেছে। মানুষ পিছু হটতে হটতে এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। মানুষ এখন সামনের দিকে আগাচ্ছে, জেগে উঠেছে। তিনি রবিবার (১৮ জুন) বিকালে পাহাড়তলী সাগরিকা স্কয়ারে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিএনপির ১০ দফা দাবীতে চট্টগ্রাম মহানগর মোটর চালকদলের বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এই অনির্বাচিত সরকার কিশোর গ্যাং এর জন্ম দিয়েছে। তারা এখন যেকোন জায়গায়, যেকোন সমাবেশে ডুকে পড়ছে। সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে গত চসিক নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী এক ভাই আরেক ভাইকে খুন করেছে। মিরেশ্বরাইের ছাত্রদল নেত্রী নাদিয়া নুসরাতকে আওয়ামীলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাটিয়ে দিয়েছে। রাষ্ট্রযন্ত্র এখন আওয়ামী যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। তাদের একপেশে নীতির কারণে মানুষ এখন অসহায়। তাই চালকদলের নেতাকর্মীদেরকে জেগে ওঠতে হবে। অধিকার আদায়ের আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, বর্তমান সরকারের দুঃশাসনে অবহেলিত শ্রমিক সমাজ। শ্রমিকদের দুবেলা খাওয়ার সুযোগ নেই। আজকে শ্রমিকদের কর্মসংস্থান ও বাসস্থান নেই। অথচ শ্রমিকদের কারণে বাংলাদেশ ঠিকে আছে। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শ্রমিক সমাজের ভূমিকা আন্দোলনকে সফল করেছিল। বর্তমান ফ্যাসিষ্ট সরকারের বিরুদ্ধে শ্রমিকদেরকে কঠিন আন্দোলনে শরিক হতে হবে। চট্টগ্রাম মহানগর মোটর চালক দলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন মুন্নার পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক এস কে খোদা তোতন, সদস্য আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শ ম জামাল উদ্দিন, হালিশহর থানা বিএনপি’র সভাপতি মোশারফ হোসেন ঢেপটী। বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি সাইফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান চৌধুরী, আলী হায়দার, মো. শফিউল্লাহ, বিভাগীয় মোটর চালক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন, মহানগর সিএনজি চালক দলের সভাপতি নুর মিয়া মধু, সাধারণ সম্পাদক মো. শিপন, থ্রি হুইলার চালক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সি. সহ সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক আবদুল আহাদ রিপন, মহিলাদলের যুগ্ম সম্পাদক জাহানারা বেগম, চালকদলের সি. সহ সভাপতি মো. হাশেম, যুগ্ম সম্পাদক মো. ইব্রাহিম, ডবলমুরিং থানার সভাপতি মো. সবুজ, পাহাড়তলী থানার সভাপতি জাকির হোসেন মিন্টু, মো. মানিক প্রমূখ।