পরিবেশ দূষণ রোধে রঙিন ডাস্টবিনের মানে জানুন

শুনতে একটু অদ্ভুত লাগলেও এটিই সত্যি। বর্তমানে পরিবেশকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে কার্যকরী পদক্ষেপ হতে পারে রঙিন ডাস্টবিনের ব্যবহার।

রঙিন ডাস্টবিন বলতে মূলত বিভিন্ন রঙের ময়লার ঝুড়িকে বোঝানো হয়, যে রংগুলোর আলাদা আলাদা মানে রয়েছে। একে এক কথায় বলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কালার কোডিং।

এই সিস্টেমের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয় কোন বর্জ্যগুলো পুনর্ব্যবহারযোগ্য এবং কোনগুলো ধ্বংসযোগ্য বা বিপজ্জনক। বিপজ্জনক বর্জ্যগুলো সাধারণত পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশনা থাকে।

কালার কোডিং বর্জ্য অপসারণকারী সংস্থাগুলোকে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য আলাদা করতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহজেই বর্জ্যগুলো বিভিন্ন বিভাগে বাছাই করতে পারে, যা তাদের সঠিক বর্জ্য অপসারণ করার কাজে সাহায্য করে। পরিবেশ দূষণ রোধে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণ করতে তাই আসুন জেনে নিই বিভিন্ন রঙের ডাস্টবিনগুলো কী অর্থ নির্দেশ করে।

নীল ডাস্টবিন: শুকনো আবর্জনা, ক্ষয় ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য বর্জ্যের জন্য। পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণগুলোর মধ্যে রয়েছে কাগজ, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, কার্ডবোর্ড, খাবারের টিন, কাচের বোতল এবং জার, প্লাস্টিকের বোতল, টেট্রা প্যাক প্যাকেজিং, ইত্যাদি।

বাদামি ডাস্টবিন: বাগান বর্জ্য রাখার জন্য।

সবুজ বা ধূসর ডাস্টবিন: পুনর্ব্যবহারযোগ্য খাদ্য বর্জ্যের জন্য। এগুলো সাধারণত বায়োডিগ্রেডেবল বর্জ্য বা কম্পোস্টেবল উপাদান ধারণ করে।

লাল ডাস্টবিন: বিপজ্জনক বর্জ্য রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়। এগুলো সাধারণত অ-পুনর্ব্যবহারযোগ্য আবর্জনা।

হলুদ ডাস্টবিন: বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য যেমন: সিরিঞ্জ, মেয়াদোত্তীর্ণ ট্যাবলেট, মানুষের শারীরবৃত্তীয় বর্জ্য ইত্যাদি আলাদা করতে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত এ ধরনের ডাস্টবিন হাসপাতাল, রাসায়নিক ল্যাব, ক্লিনিক, কারখানা ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।

কমলা রঙের ডাস্টবিন: হাসপাতালে সংক্রামক বর্জ্যের জন্য কমলা ব্যবহার করা হয়।

কালো ডোরাবিহীন হলুদ: হাসপাতালে বিপজ্জনক বর্জ্য রাখার জন্য।

বেগুনি রঙের ডাস্টবিন: হাসপাতালে সাইটোটক্সিক বর্জ্য রাখার জন্য। হাসপাতালের বর্জ্য সাধারণত সঠিকভাবে নিষ্পত্তি করার পর পুড়িয়ে ফেলা হয়।

নতুন প্রজন্মকে সুরক্ষিত রাখতে আসুন আমরা কালার কোডিং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মেনে চলি এবং এই বিশ্ব ধরিত্রীকে রাখি পরিবেশ দূষণমুক্ত।