জেল থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবারও গ্রেপ্তার কুরেশি

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশিকে জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার কয়েক মিনিট পর পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেল থেকে মুক্তি পান এই নেতা। কিন্তু এরপরই তাকে আবারও গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া দলটির আরেক নেতা মুসাররাত জামশেদ চিমাকেও মুক্তির কিছুক্ষণ পরেই পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয়।
খবরে বলা হয়, পুনরায় গ্রেপ্তারের আগেই কারাগারের বাইরে ভাষণ দেন কুরেশি। এসময় তিনি বলেন, তিনি এখনও পিটিআই-এর অংশ আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। এরপরই সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পুলিশ অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। ওই ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই পিটিআই ছাড়ার ঘোষণা দেন পিটিআই দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শিরীন মাজারি।

এর আগে কুরেশির গ্রেপ্তারকে অবৈধ ঘোষণা করে তার মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। মুক্তির শর্ত হিসেবে কুরেশি আদালতকে প্রতিশ্রুতি দেন যে,তিনি আন্দোলন সৃষ্টি করা ও দলের কর্মীদের উস্কানি দেয়া থেকে বিরত থাকবেন। আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ৯ই মে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেপ্তারের পর পিটিআই কর্মীরা দেশব্যাপী সহিংস বিক্ষোভ শুরু করেন।

ওই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পিটিআই’র শীর্ষ বেশ কয়েক জন নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে অন্যতম কুরেশি।
প্রাক্তন এই পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়ায় দাঙ্গা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। গ্রেপ্তারের আগে পিটিআইর এই নেতা দলের কর্মীদের ‘সত্যিকারের স্বাধীনতার’ জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছিলেন। তিনি এক অডিও বার্তায় বলেন, পাকিস্তানের একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমি প্রতিটি ফোরামে পাকিস্তানের স্বার্থ রক্ষা করেছি। আমি ৪০ বছর ধরে রাজনীতিতে রয়েছি। আমি যা করেছি তার জন্য কোনও অনুশোচনা নেই। আমি এমন কোনও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেইনি যার জন্য মামলা হতে পারে।

এরপর গত ১৮ই মে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট কুরেশির গ্রেপ্তারের আদেশ বাতিল করে এবং তাকে মুক্তি দেয়ার রায় দেয়। আদালত তখন বলেছিল যে, পিটিআই নেতার মুক্তি তার একটি লিখিত প্রতিশ্রুতি জমা দেয়ার উপর নির্ভর করবে। তাকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে, তিনি কোনো সহিংস বিক্ষোভে অংশ নেবেন না এবং ভবিষ্যতে যে কোনও ধরণের সহিংসতাকে প্ররোচিত করা থেকে বিরত থাকবেন।