সামরিক আদালতে বিচারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে পিটিআই

বেসামরিক মানুষদের সামরিক আদালতে বিচারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলটি সোমবার সুপ্রিম কোর্টে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানায়। দলটির তরফ থেকে আবেদন করা হয় যে, সামরিক আদালতে বিচারের সরকারি সিদ্ধান্তকে যেনো ‘অবৈধ’ ঘোষণা করা হয়। 

খবরে জানানো হয়, গত ৯ই মে পিটিআই প্রধান ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর দেশব্যাপী যে সহিংসতা সৃষ্টি হয়েছিল তার বিচার সামরিক আদালতে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাক সরকার। তবে সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে অবৈধ মনে করছে পিটিআই। সুপ্রিম কোর্টে করা আবেদনে দলটি তার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চলমান ধরপাকড় বন্ধের কথাও বলেছে। পিটিআই’র পক্ষ থেকে আবেদনটি করেন এডভোকেট গোহার খান।

এছাড়া ইসলামাবাদ, পাঞ্জাব, কেপি এবং বেলুচিস্তানে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তকেও চ্যালেঞ্জ করেছে পিটিআই। আবেদনে বলা হয়, সামরিক আদালতে বেসামরিকদের এভাবে বিচার করা সংবিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এ ধরণের বিচারকে আন্তর্জাতিকভাবে অত্যন্ত ‘অবজ্ঞা’ করা হয় এবং এটি ন্যায্য বিচার প্রদানে ব্যর্থ হবে বলেই বিবেচিত হয়। সরকার নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তির অধীনে পাকিস্তানের বাধ্যবাধকতাকে লঙ্ঘন করেছে।

এমনকি অভ্যন্তরীণভাবেও সুপ্রিম কোর্ট বারবার এই ধরনের সিদ্ধান্তকে বাতিল করে দিয়েছে। ইতিহাসে কখনও সামরিক আদালতে কোনো রাজনৈতিক দল ও তার হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে এভাবে বিচার করা হয়নি।
সংবিধানে বেসামরিকদের সামরিক আদালতে বিচারের যে সুযোগ রাখা হয়েছে তার সংস্কার প্রয়োজন বলেও পিটিশনে উল্লেখ করেছে পিটিআই। পাশাপাশি দাবি করেছে যে, এই ধারা রয়েছে যাতে শুধুমাত্র কট্টর সন্ত্রাসীদের সামরিক আদালতে বিচার করা যায়। কিন্তু পিটিআই’র কর্মী ও সমর্থকরা কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের অংশ নয় এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য কোনো হুমকি নয়।