তুরস্কে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন প্রবাসীরা

তুরস্কে দ্বিতীয় ধাপে গড়ানো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেয়া শুরু করেছেন দেশটির প্রবাসীরা। শনিবার (২০ মে) এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বুধবার (২৪ মে) পর্যন্ত।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৪ মে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটে রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ৫০ শতাংশ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এ ছাড়া অপর প্রার্থী সিনান ওগান পেয়েছেন ৫ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট।

তবে এই নির্বাচনে এরদোয়ান ও বিরোধী নেতা কামাল কিরিচদারোগলু কেউই ৫০ শতাংশ ভোট পাননি। এতে নির্বাচন দ্বিতীয় ধাপে গড়িয়েছে। আগামী ২৮ মে তুরস্কে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু হবে। তবে তার আগেই, দেশের বাইরে থাকা তুর্কিদের ভোটদান শুরু হয়ে গেছে।

দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলোয় থাকা প্রবাসীরা ভোট দিতে শুরু করেছেন। সবচেয়ে বেশি জার্মানিতে বসবাসকারী তুর্কিরা ভোট দিতে পারবেন। দেশটিতে প্রায় ১৫ লাখ নাগরিক ভোট দেবেন। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ৬ কোটি ৪০ লাখ ভোটারের মধ্যে প্রায় ৩৪ লাখ প্রবাসী ভোট দিতে পারবেন।

আগামী বুধবার (২৪মে) পর্যন্ত তারা আগাম ভোট দেবেন। ভোটের মধ্য দিয়ে রিসেপ তাইপ এরদোয়ান ও বিরোধী জোটের প্রার্থী কামাল কিলিচদারোগলুর মধ্যে একজনকে বেছে নেবেন তুরস্কের মানুষ।

এদিকে তুরস্কের চূড়ান্ত ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে বিশ্ব। দেশটির ক্ষমতায় কে আসছেন তার ওপর নির্ভর করছে আঙ্কারার সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর সম্পর্ক, ইউক্রেন যুদ্ধ, শরণার্থী সংকটসহ নানা সমস্যার সমাধান।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর দেশ দুটির মধ্যে খাদ্যশস্য চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনের পাশাপাশি কার্যকর পদক্ষেপের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুড়িয়েছে আঙ্কারা। এ অবস্থায় পশ্চিমা দেশগুলোর পাশাপাশি হিসাব কষছে বিশ্বের নানা দেশ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, তুরস্কের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে আগামী দিনে আঙ্কারার সঙ্গে কেমন হবে যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটোর সম্পর্ক। বিশ্ব রাজনীতির সমীকরণ পাল্টে যেতে পারে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।