পাকিস্তানে বন্ধ টুইটার-ফেসবুক-ইউটিউব, ইন্টারনেট সেবাও নেই বহু অঞ্চলে

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পরপরই দেশব্যাপী ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে পাক সরকার। সংযোগ থাকলেও কোনো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মই ব্যবহার করা যাচ্ছিল না। টুইটার, ইউটিউব ফেসবুকসহ জনপ্রিয় সব সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবেশ বন্ধ রয়েছে দেশটিতে। এরমধ্যে বৈশ্বিক ইন্টারনেট পর্যবেক্ষক নেটব্লকস জানিয়েছে, পাকিস্তানের কিছু অংশে ইন্টারনেট একদম পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।

ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করার পর থেকেই অশান্ত হয়ে উঠেছে পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকা। মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সামনে থেকেই ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়, তার পর থেকে পাকিস্তানের বিভিন্ন অংশ জুড়ে উঠেছে প্রতিবাদের ঢেউ। রাস্তায় নেমে এসেছেন ইমরানের দল পিটিআই-এর সমর্থকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখতে হয়েছে, বন্ধ করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াও। পাক প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে পাকিস্তানের বিভিন্ন অংশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে রাখা হবে। পাকিস্তান টেলি-কমিউকেশন অথরিটি ঘোষণা করেছে, মোবাইল ব্রডব্যান্ড পরিষেবা গোটা দেশের আপাতত বন্ধ রাখা হবে।
এদিকে পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে যে বিক্ষোভ হচ্ছে তাতে এখন পর্যন্ত অন্তত চার জন নিহত হয়েছেন।

ইমরান সমর্থকরা রাওয়ালপিন্ডির সেনা প্রধান দফতর ও লাহোরের কম্যান্ডারের অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে।
দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিলো পিটিআই
ইতিমধ্যে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরান খানের গ্রেফতারিকে আইন মাফিক বলেই ঘোষণা করেছে। আন্তর্জাতিক মহলেও পাকিস্তানের অশান্তি নিয়ে নানারকম প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, আমরা চাই, পাকিস্তানে যে ঘটনাই ঘটুক তা যেন আইন মেনে ঘটে। সেখানে যেন সংবিধান মেনে সবটা করা হয়। পাশাপাশি, আমরা চাই সেখানে যেন শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি বজায় থাকে।
বাস্তবে দেখা গেছে, পাকিস্তানজুড়ে চলছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের বহু ঘটনা শোনা যাচ্ছে। রাস্তায় রাস্তায় গাড়ি পুড়ছে আবার হামলা হচ্ছে সরকারি অফিসেও। রাস্তার মধ্যে টায়ার জ্বালিয়ে চলছে বিক্ষোভ। মঙ্গলবার বিকাল থেকেই এই উত্তেজনা বিরাজ করছে।