আবারও বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা

মাঝে দুদিন তাপমাত্রা স্বাভাবিকে নেমে এলেও সোমবার (২৪ এপ্রিল) থেকে আবারও বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। আরও বাড়ার আভাস রয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবানে ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আগের দিনের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠলে ও স্থায়ী হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠলে বলা হয় মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ আর ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠলে বলা হয় তীব্র তাপপ্রবাহ।

আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হামিদ মিয়া জানিয়েছেন, আগামী বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত দিনের তাপমাত্রা বাড়বে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। আগামী তিনদিনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে।

তিনি বলেন, আবারও তাপপ্রবাহ হবে কি না, তা আজকের দিন গেলে বোঝা যাবে। এখন তাপমাত্রা আবারও বাড়ছে। আরও বাড়বে।

গত ৪ এপ্রিল থেকে দেশের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ শুরু হয়, যা ক্রমান্বয়ে বেড়ে গত নয় বছরের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে। এরপর ১৮ এপ্রিল থেকে কমতে শুরু করে। ২৩ এপ্রিল এসে পুরোপুরি কেটে যায়।

গত ১৭ এপ্রিল আগের নয় বছরের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ঈশ্বদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০১৪ সালের মে মাসে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এছাড়া গত ১৬ এপ্রিল আগের ৫৮ বছরের মধ্যে ঢাকার তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ১৯৬৫ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে ১৯৬০ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ১৯৭৫ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ রেকর্ড এখনও ভাঙেনি।

বর্তমানে লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিরাজ করছে। এ অবস্থায় ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

ঢাকায় পশ্চিম অথবা দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে দমকা আকারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।