ইসরাইলে পরপর দুই হামলায় নিহত চার

ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘাত আবারও তীব্র হয়ে উঠছে। ফিলিস্তিনে হামলার জেরে ইসরাইলেও পাল্টা হামলা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি ঘটনায় ইসরাইলে মোট চার জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে আছেন বিদেশি পর্যটকেরাও। রাজধানী তেল আবিব ও পশ্চিম তীরে ইসরাইলিদের টার্গেট করে এসব হামলা চালানো হয়।

খবরে জানানো হয়, মূলত আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলি আগ্রাসন এবং গাজায় মিসাইল হামলার পরই এসব সহিংস ঘটনা ঘটছে। ইসরাইলে নিহতদের মধ্যে ইতালির এক নাগরিক আছেন। এছাড়া পশ্চিম তীরে গুলি করে দুই ইহুদী বোনকে হত্যা করা হয়, তারা ইসরাইল ও বৃটেন উভয় দেশেরই নাগরিক। ঘটনায় তাদের মা গুরুতর আহত হয়েছেন। ওই হামলাকারীদের এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

একই দিনে তেল আবিবের একটি সৈকতের কাছে গাড়ি নিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে এক ইতালীয় পর্যটক নিহত হন এবং আরও সাত জন আহত হন। তেল আবিবের হামলাকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে।
পশ্চিম তীরের একটি বসতিতে ওই দুই বোন এবং তাদের মা বৃটেন থেকে এসে বাস করতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু ইসরাইল-ফিলিস্তিন উত্তেজনার জেরে প্রাণ হারাতে হলো তাদের। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ১৯৬৭ সালের সীমান্তের পূর্বপ্রান্তে নির্মাণ করা সকল ইসরাইলি স্থাপনা ও বসতি অবৈধ। প্রায়ই এসব অবৈধ বসতিতে হামলা চালায় ফিলিস্তিনিরা। ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ওই এলাকার সড়কগুলো ব্লক করে দিয়ে হামলাকারীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।

এর আগে দক্ষিণ লেবানন এবং গাজা ভূখণ্ড থেকে একযোগে ইসরাইলে রকেট হামলা হয়। এর জবাবে ইসরাইলও যুদ্ধবিমান থেকে পাল্টা হামলা চালায় বিভিন্ন টার্গেটে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, গত ১৭ বছরের মধ্যে ইসরায়েলের ওপর চালানো সবচেয়ে বড় রকেট হামলার ঘটনা ঘটেছে। আল-আকসা মসজিদে পরপর দুই রাত আগ্রাসন চালায় ইসরাইল। এটাই মূলত উত্তেজনার শুরু। পুলিশের ওই অভিযান পুরো অঞ্চল জুড়ে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।