ন্যাটোতে যোগ দিয়েছে ফিনল্যান্ড। এর মধ্য দিয়ে তারা এ সংগঠনের ৩১তম সদস্য হলো। আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের এই যোগদান অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গলবার ব্রাসেলসে ন্যাটো সদর দফতরে ফিনল্যান্ডের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে। রাশিয়ার পশ্চিমে ন্যাটোর সদস্য প্রতিবেশী তারা। যোগদান উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে ন্যাটো মন্ত্রীদের সঙ্গে যোগ দেন ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তো এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের। 
আগে থেকেই রাশিয়া সতর্কতা দিয়েছে। তারা ন্যাটোর সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে বার বার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর ক্ষেত্রে এই একই অভিযোগ তুলেছে। এবার তাদের সেই হুঁশিয়ারিকে উপেক্ষা করে ফিনল্যান্ডকে ন্যাটোর সদস্য করা হলো। একে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য পশ্চাৎপদতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ফিনল্যান্ড যোগ দেয়ার ফলে রাশিয়া সীমান্তের সঙ্গে ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অভিন্ন সীমান্তের দৈর্ঘ্য এখন দ্বিগুন হচ্ছে। ফিনল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার সঙ্গে আছে অভিন্ন ১৩৪০ কিলোমিটার সীমান্ত। রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে তারা গত মে মাসে সুইডেনের সঙ্গে পশ্চিমা এই নিরাপত্তা জোট ন্যাটোতে যোগদানের আবেদন করে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে ফিনল্যান্ডের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ ন্যাটোতে যোগ দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছে। তবে সুইডেনের আবেদন এখনও আটকে আছে। কারণ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের বিরোধিতা। তিনি অভিযোগ করেছেন, স্টকহোম কুর্দি মিলিট্যান্টদের সহায়তা করছে এবং তাদেরকে রাজপথে বিক্ষোভ করার অনুমতি দিচ্ছে। এ জন্য সুইডেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ দেয়ার বিরোধিতা করেন এরদোগান। এ ছাড়াও সুইডেনের যোগদানের ক্ষেতে হাঙ্গেরিও এখনও অনুমোদন দেয়নি।
মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের কাছে যোগদানপত্র হস্তান্তর করেন ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেক্কা হাভিস্তো’র। এই যোগদানপত্র হস্তান্তর করার মধ্য দিয়ে তারা ন্যাটোর সদস্য হলো। ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ যোগদান অনুষ্ঠানের আগে একে একটি ঐতিহাসিক দিন এবং ন্যাটোর জন্য এক মহান দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন।
