যুক্তরাষ্ট্রে ঘূর্ণিঝড়ে নিহত কমপক্ষে ২৬

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপশ্চিম ও দক্ষিণের বিভিন্ন শহরের উপর দিয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেছে। এতে বিধ্বস্ত হয়েছে শহরগুলো। প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৬ জন। বিধ্বস্ত হয়েছে বাড়ির পর বাড়ি। হাজার হাজার মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। এমন অবস্থা হয়েছে কয়েকটি রাজ্যে। ওয়াশিংটন পোস্টের মতে, এসব রাজ্যে কমপক্ষে ৬০টি ঘূর্ণিঝড়ের রেকর্ড করা হয়েছে। মানুষ মারা গেছেন আরাকানসাস, টিনেসি, ইলিয়ন, ইন্ডিয়ানা, আলাবামা এবং মিসিসিপি রাজ্যে। একটি ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেছে আরকানসাসের ওয়েনে শহরের উপর দিয়ে। রাজ্যের রাজধানী লিটল রক থেকে প্রায় ১০০ মাইল পূর্বে এর অবস্থান।

সেখানকার অধিবাসী অ্যাশলে ম্যাকমিলান বলেন, টর্নেডোর সময় তিনি, তার স্বামী ও ছেলেমেয়ে তাদের পোষা কুকুরকে নিয়ে একটি ছোট্ট বাথরুমে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানে বসে প্রার্থনা করেছেন। সবাই সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিয়েছিলেন। কারণ তারা মনে করেছিলেন আর বাঁচবেন না। একটি গাছ পড়ে তাদের বাড়ির মারাত্মক ক্ষতি করেছে। তবে তারা আহত হননি। তিনি বলেছেন, আমরা টের পাচ্ছিলাম বাড়িঘর ঝাঁকুনি খাচ্ছে। চারপাশে বিকট শব্দ পাচ্ছিলাম। ঘরের আসবাবপত্র নিচে পড়ে শব্দ হচ্ছিল। তবু আমরা মাথা ঠাণ্ডা রেখেছি।

ইউনি হাইস্কুলের একজন শিক্ষক লিসা ওয়ার্ডেন বলেন, ঝড়ের আগে শিক্ষার্থীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ওদিকে শুক্রবার আরাকানসাস রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন গভর্নর সারা হাকাবি স্যান্ডার্স। এ নিয়ে তিনি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান। তিনি আরও জানান, প্রেসিডেন্ট তাকে কেন্দ্রীয় সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

ইলিনয় রাজ্যের বেলভিডারে একটি থিয়েটারের ছাদ উড়ে গেছে। এতে সেখানে একজন নিহত ও ২৮ জন আহত হয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় পূর্বদিকে ধাবিত হওয়ার সময় বহু রাজ্যে লাখ লাখ মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। ইউএস পাওয়ার আউটেজ ওয়েবসাইট অনুযায়ী এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভার্জিনিয়া, ওহাইও এবং পেনসিলভ্যানিয়া। স্টর্ম প্রেডিকশন সেন্টার সতর্কতা দিয়েছে যে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বহুদূর পর্যন্ত বিস্তার করতে পারে।

এর এক সপ্তাহ আগে মিসিসিপিতে ঘূর্ণিঝড় হয়। তাতে কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হন। ওই ঘূর্ণিঝড় ৫৯ মাইল পর্যন্ত প্রবাহিত হয়। এক ঘণ্টা ১০ মিনিট এর স্থায়িত্ব ছিল।