আফগানিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন টাইগার যুবারা

টানা দুই হারে অনূর্ধ্ব-১৯ ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশ। দুঃসময় পেছনে ঠেলে টানা তিন জয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো জুনিয়র টাইগাররা। বাংলাদেশের সবশেষ শিকার আফগানিস্তান। বৃহস্পতিবার যুবাদের ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের ফাইনালে আফগানদের ৬ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল।
আবু ধাবির টলেরেন্স ওভালে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১৩৭ রানেই গুটিয়ে যায় আফগানিস্তানের ইনিংস। জবাবে ২৩.২ ওভারেই জয় বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশ। ফাইনালের নায়ক মাহফুজুর রহমান ১০ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৬ উইকেট শিকার করেন। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে যুব ওয়ানডেতে ৬ উইকেটের স্বাদ পেলেন এই স্পিনার। ২০১৫ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৯ রানে সমান সংখ্যক উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন অফ স্পিনার সঞ্জিত সাহা।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম পাঁচ ওভারে বিনা উইকেটে ২৮ রান তোলে আফগানিস্তান। ষষ্ঠ ওভারে হিজবুল্লাহ দোরানিকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে ব্যাকথ্রু এনে দেন বাঁহাতি পেসার মারুফ মৃধা। দলীয় সংগ্রহ পঞ্চাশ পেরোনোর পর দ্রুত ৪ উইকেট হারায় আফগানরা।

ওয়াফিউল্লাহ তারাখিলকে বোল্ড করে তাণ্ডব শুরু করেন স্পিনার মাহফুজ। নিজের পরের দুই ওভারে তিনি ফিরিয়ে দেন সোহেল খান ও কাময়ান হোতাককে। ৬০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানিস্তান। দলের বিপদে ৫৪ রানের জুটিতে দলের স্কোর একশ’ পার করেন মোহাম্মদ হারুন ও খালিদ তানিওয়াল। এরপরই মাহফুজ পরপর দুই বলে খালিদ ও ফরহাদ ওসমানিকে বোল্ড করে পাঁচ উইকেট পূরণ করেন। এরপর লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন ইয়ামা আরবকে। আর একই ওভারে হারুন ও বশির আহমেদকে ফিরিয়ে ইনিংস গুটিয়ে দেন রাফি। আফগানদের ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করেন হারুন। ৬২ বলে ৭ চারে তার ব্যাট থেকে আসে ৬৫ রান।
রান তাড়ায় ১৩ বলে ৩ চারে ১৭ রান করে বিদায় নেন আশিকুর রহমান। জিশান আলম ১৯ বলে ৭ চারে করেন ৩৫ রান। এরপর তৃতীয় উইকেটে ৫৩ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আরিফুল ইসলাম। ৩৩ বলে ২২ রান করে আরিফুল আউট হন। ওপেনার রিজওয়ান ৪৯ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় করেন ৪৩। বাকিটা সারেন আহরার আমিন ও মোহাম্মদ শিহাব।