ফরিদপুরে কলেজছাত্রের কোমরে ‘পিস্তল’ গুঁজে রাখার ছবি ফেসবুকে

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় কোমরে ‘পিস্তল’ গুঁজে ফেসবুকে ছবি দিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন ফারদিন মাশরাফি নামের এক কলেজ ছাত্র। তিনি উপজেলার কাদিরদি ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও সাতৈর গ্রামের মো. আবুল হাসানের ছেলে।

সোমবার (২৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ফারদিন মাশরাফি ছবিটি নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করে লেখেন, ‘আপনাদের কারণে বাইরে আসতেই হলো’। ‘হতাশ’।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজছাত্র ফারদিন মাশরাফি বলেন, ওটা একটা খেলনা পিস্তল। গত ১৬ মার্চ আমরা কলেজ থেকে পিকনিকে গিয়ে ছবিটি তোলা। আজ কি মনে হলো; তাই ছবিটি আমার ফেসবুক আইডিতে ছেড়েছি। তবে আমার ভুল হয়েছে। ক্ষমা করে দেন। লোকজন বলার পর ছবিটি ডিলিট করে দিয়েছি।

জনমনে আতঙ্ক, ভীতি প্রদর্শন ও সাইবার সন্ত্রাসসহ জনমনে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপরাধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুরে বোয়ালমারী থানায় একটি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।

সাতৈর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কাদিরদি ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বোর্ডের সদস্য মো. রাফিউল আলম মিন্টু বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি এটা করে থাকে, সে ঠিক করেনি। সবকিছু নিয়ে ফাজলামি করা উচিত নয়। তদন্তে দোষী হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া উচিত। কলেজে কোন অপরাধীর আশ্রয় নেই।

এ বিষয়ে কাদিরদি ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল মো. নুরুজ্জামান মোল্লা বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কলেজের পিকনিকে বেশিরভাগ মেয়েরাই গিয়েছিল। সেখানে এমন কোন ঘটনার খবর পাইনি। ফেসবুকেও দেখিনি। তবু আমি খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখব।বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।

এর আগে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় কোমরে পিস্তল গুঁজে ফেসবুকে ছবি আপলোডের ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শুভ্রদেব সিং ওরফে সুদেব বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে থানায় মামলা হয়েছে।