চীনের প্রশংসা করে তাদের থেকে শিখতে বললেন মার্কিন জ্বালানিমন্ত্রী

চীনের কাছ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে শিখতে বলেছেন মার্কিন জ্বালানিমন্ত্রী জেনিফার গ্রানহোম। শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় চীন যা করছে আমেরিকানরা সেখান থেকে শিখতে পারে। টেক্সাসের অস্টিনে এসএক্সএসডব্লিউ সম্মেলনে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

খবরে জানানো হয়, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় চীনের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন মার্কিন জ্বালানিমন্ত্রী। তিনি বলেন, চীন আসলে এই বিষয়ে ‘অত্যন্ত স্পর্শকাতর’, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের থেকেও বেশি। যদিও গত বছর কয়লা উৎপাদনে নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে চীন। এরমধ্যেই চীনের এই প্রশংসা করলেন গ্রানহোম। মার্কিন সরকারের হিসেব অনুযায়ী, এখনও চীনের শক্তি উৎপাদনের ৫৫ শতাংশ আসে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এই হার মাত্র ১১ শতাংশ।

এসএক্সএসডব্লিউ স্টুডিওর হোস্ট ওয়াজাহাত আলী ওই সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন। তিনি গ্রানহোমের সামনে জলবায়ু নিয়ে চীনের অবহেলার কথা তোলেন।

তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশকেই দায়ী করেন। এরপর তিনি গ্রানহোমের কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন যে, চীনকে কীভাবে তার এই আচরণের জন্য দায়বদ্ধ করা সম্ভব? উত্তরে মার্কিন জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশগুলোকে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে বেঁধে রাখতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে চাপ দিচ্ছে। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূণ্যে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে এবং অন্য দেশগুলোকেও তা করার আহ্বান জানাচ্ছে।
গ্রানহোম অভিযোগ করে বলেন, সমস্যা হচ্ছে বিশ্বের অনেকগুলো দেশ জলবায়ু পরিবর্তনকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। কিন্তু স্পষ্টভাবেই চীন এসব দেশের একটি নয়। এরপর তিনি চীনের প্রশংসা করে বলেন, বাস্তবে চীন এ বিষয়ে অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং সমাধানের জন্য বিপুল অর্থ বিনিয়ো করেছে। আমরা আশাবাদী যে, চীন থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারবো। গ্রানহোম আরও জানান, চীন নিরাপদ জ্বালানির জন্য যে পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে তা আসলেই অত্যন্ত উৎসাহজনক।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন গত কয়েক বছরে জলবায়ু সঙ্কটের বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সম্মত হয়েছে। যদিও কিছু বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন যে, চীন জলবায়ু রক্ষার বিষয়ে যতটা সিরিয়াস বলে দাবি করছে, তারা আসলে ততটা সিরিয়াস নয়। টেক্সাস পাবলিক পলিসি ফাউন্ডেশনের প্রধান জাতীয় উদ্যোগ কর্মকর্তা চাক ডিভোর জানুয়ারিতে ফক্স নিউজ ডিজিটালকে বলেছিলেন যে, চীনের জলবায়ু পরিবর্তনের উদ্যোগগুলি শুধুমাত্র পশ্চিমাদের ধোঁকা দেয়ার একটি চেষ্টা মাত্র।