হিজাব বিরোধী বিক্ষোভের মাঝে ইরানে আরও ৩ জন মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি

মাহসা আমিনির মৃত্যুর কারণে শুরু হওয়া বিক্ষোভের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর তিন সদস্যকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ইরানের বিচার বিভাগ। ১৬ সেপ্টেম্বর বছর বাইশের আমিনির মৃত্যুর পর থেকে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র নাগরিক অস্থিরতায় কেঁপে উঠেছে, নারীদের জন্য ইরানের কঠোর পোষাক কোড লঙ্ঘনের অভিযোগে আমিনিকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হয়। তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা বিক্ষোভের কারণে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত লোকের মোট সংখ্যা ১৭ তে পৌঁছেছে। দোষী সাব্যস্তদের মধ্যে চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। দু’জনের সাজা স্থগিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। বাকিদের মামলা চলছে। বিচার বিভাগ সংক্রান্ত নিউজ ওয়েবসাইট মিজান অনলাইন জানিয়েছে-সালেহ মিরহাশেমি, মাজিদ কাজেমি এবং সাঈদ ইয়াঘুবিকে “মোহারেবেহ” — বা “ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ” করার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মিজান জানিয়েছে ১৬ নভেম্বর মধ্য প্রদেশ ইসফাহানে তিনজন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনার জন্য অন্য দুজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। অভিযুক্তরা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারেন বলেও জানানো হয়েছে। শনিবার, ইরান তেহরানের পশ্চিমে কারাজে আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যকে হত্যার জন্য মোহাম্মদ মেহেদি কারামি এবং সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেইনির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।অন্য দুই ব্যক্তি, মোহসেন শেখারি এবং মাজিদ্রেজা রাহনাভার্ডকে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর পৃথক হামলার জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ডিসেম্বরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

এই মৃত্যুদণ্ড বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে এবং তেহরানের বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সম্প্রতি ফেসবুকে একটি স্লোগান ভাইরাল হয়েছে, ‘ডেথ টু খামেনেই’। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইকে নিয়ে এই পোস্টে শোরগোল পড়েছে।