শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, গণমাধ্যম শিল্পে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ আসছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দীর্ঘমেয়াদি সমাধান দরকার আছে।
সোমবার (০৩ জুন) নগরের চশমাহিল বাসভবনে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত মর্যাদা ও রুটি-রুজির অধিকার সুরক্ষায় সরকার সচেতন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীদের অনেক ঝুঁকি নিতে হয়। এ ঝুঁকি মোকাবেলায় আমিও আপনাদের সহযাত্রী।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমে বিশেষ করে প্রিন্ট মিডিয়ায় আয়ের ক্ষেত্র সংকুচিত হয়েছে এটাই হলো বাস্তবতা। তারপরও নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করতে মাননীয় তথ্যমন্ত্রীর সহযোগিতায় কাজ করে যাবো।
চট্টগ্রামের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পরিসংখ্যান তুলে ধরে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বৈষম্যের শিকার। মন্ত্রণালয়ে কাজ করতে এসে বুঝতে পারছি এ ক্ষেত্রে বেশকিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কর্ণফুলীর দক্ষিণ তীর থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত উচ্চতর শিক্ষার জন্যে কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নেই, এটা দুর্ভাগ্যের বিষয়। এই বিষয়টি মাথায় রেখে চট্টগ্রামে শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণে সচেষ্ট হবো।
ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাছির উদ্দিন তোতা, সাধারণ সম্পাদক লতিফা আনসারী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম ইফতেখারুল ইসলাম, টিভি-ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিক আহমেদ সাজিবসহ গণমাধ্যম ব্যক্তিরা।
ইফতার মাহফিলে গণমাধ্যমকর্মীদের স্বাগত জানান সিনিয়রর্স ক্লাবের সভাপতি সেলিম আক্তার চৌধুরী, এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন।