ভারতীয় কাশির ওষুধ খেয়ে উজবেকিস্তানে ১৮ শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ

ভারতীয় কাশির ওষুধ খেয়ে উজবেকিস্তানে ১৮ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এমন অভিযোগই তুলেছে উজবেকিস্তান। এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ভারত। কয়েক মাস আগেই গাম্বিয়ায় শিশু মৃত্যুর সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল ভারতে তৈরি কাশির ওষুধের। এবার একই অভিযোগ এলো মধ্য এশিয়ার দেশটি থেকেও। এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।

খবরে জানানো হয়, যে কোম্পানিটি উজবেকিস্তানে ওই ওষুধ পাঠিয়েছিল তার নাম মেরিয়ন বায়োটেক। উত্তর প্রদেশের নয়ডায় অবস্থিত কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে ভারতীয় কর্মকর্তারা। পাশাপাশি উজবেকিস্তানেও দেশটির নিরাপত্তা পরিষদ এই নিয়ে অপরাধমূলক ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। তাদের অভিযোগ, ডক-১ ম্যাক্স নামক ওষুধ খেয়ে পরপর বেশ কয়েকটি শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ভারত থেকে এই ওষুধ আমদানি করে কিউরাম্যাক্স নামের একটি কোম্পানি।

তার বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে উজবেকিস্তানে। এছাড়া স্টেট সেন্টার ফর এক্সপার্টাইজ অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অফ মেডিসিনের বিরুদ্ধে উজবেকিস্তানের ক্রিমিনাল কোড ১৮৬-৩ ধারায় তদন্ত শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, ল্যাব টেস্টের সময় ডক-১ ম্যাক্স নামক সিরাপটিতে রাসায়নিক ইথিলিন গ্লাইকল পাওয়া গেছে। এই একই রাসায়নিক পদার্থ থাকার কারণে হরিয়ানার মেডেন ফার্মার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। মেডেন ফার্মার ওষুধে এই রাসায়নিক থাকার কারণেই গাম্বিয়াতেও শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ। ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল বিস্তারিত তথ্য পেতে উজবেক নিয়ন্ত্রকের সাথে যোগাযোগ করছেন। এদিকে এই ঘটনায় নয়ডার অভিযুক্ত এই কোম্পানিটি দীর্ঘদিন ধরে উজবেকিস্তানে ওষুধ সরবরাহ করছে বলে জানা গিয়েছে।

ভারতের উত্তর প্রদেশের ড্রাগ কন্ট্রোলিং এবং লাইসেন্সিং অথরিটির ডেপুটি কমিশনার এ কে জৈন বলেছেন, আমরা কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক দলের কাছ থেকে একটি ইমেল পেয়েছি। এই নিয়ে আমাদের তদন্ত করতে বলা হয়েছে। নির্দেশ পেয়ে আমরা অবিলম্বে একটি তদন্তকারী দল গঠন করেছি। রপ্তানি করা ব্যাচ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং বর্তমান ব্যাচের ওষুধও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষাটি কেন্দ্রীয় সরকারি পরীক্ষাগারে হবে এবং পরীক্ষার রিপোর্ট হলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই ওষুধের তদন্তে সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে।