দেশে প্রথম ইয়াবা আমদানীকারক ইয়াবা সম্রাট সাইফুল করিম অবশেষে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতির(৩১ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে
কক্সবাজারের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মেরিন ড্রাইভ সড়কে মধ্যরাতে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে।
টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানায়,টেকনাফ সদর ইউনিয়নের কেরুনতলী এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে সাইফুল করিম মারা গেছে। সাইফুল করিম টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শিলবনিয়াপাড়া গ্রামের ডা. হানিফের ছেলে।
এসময় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করা
জানা গেছে, বন্দুকযুদ্ধে নিহত হাজী সাইফুল করিম (৪০) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত দ্বিতীয় শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী। বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা, আগ্নেয়াস্ত্র এবং গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
জানাগেছে, ১৯৯৭ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ইয়াবার চালান ঢোকে। সেই চালানটি এনেছিলেন সাইফুল। বিভিন্ন আসামির জবানবন্দি ও নানা তথ্য ঘেঁটে পুলিশ এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে।
২০১৮ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১ হাজার ১৫১ মাদক জন ব্যবসায়ীর তালিকায় প্রথম নামটি ছিল এই সাইফুলের। এবারের ঈদের পর কক্সবাজারের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের দ্বিতীয় দফায় আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে তিনি আত্মসমর্পণ করার কথা ছিল।
স্থানীয় ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র জানায়, টেকনাফের বাসিন্দা সাইফুল করিম ইয়াবা ব্যবসার আড়ালে রাতারাতি ধনাঢ্য ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি পেয়ে যান। তিনি কক্সবাজার জেলায় সর্বোচ্চ কর দিয়ে লাভ করেন সিআইপি মর্যাদা। গুরুত্বপূর্ণ অনেক ব্যক্তির সঙ্গেও তার সখ্যতা ছিল। গেল বছরের ৪ এপ্রিল চট্টগ্রামে একসঙ্গে ১৩ লাখ ইয়াবা বড়ির একটি চালান জব্দ হওয়ার পর আলোচনায় আসেন সাইফুল। এরপর তিনি আড়ালে চলে যান।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, সাইফুল দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল। কক্সবাজারের ১০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আত্মসমর্পণ করাতে স্থানীয় যে মাধ্যমটি ভূমিকা রেখেছিল তারা সাইফুলকে আত্মসমর্পণ করানোর নেপথ্যে কাজ করছিল। তার আগেই আজ বন্দুকযুদ্ধে মারা গেল এই ইয়াবা গড় ফাদার।