কোনো মতে দিন পার করেছে বাংলাদেশ

আবারও ‘গোল্ডেন ডাক’ নাজমুল হোসেন শান্ত। ইনিংসের প্রথম বলে উইকেট হারানোর পর দলকে টেনে তুলতে পারলেন না লিটন, সাকিব কিংবা মুশফিকরা। প্রথম ইনিংসে ভারতের ৪০৪ রানের জবাবে ৪৪ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান সংগ্রহ করতে পেরেছে বাংলাদেশ। ফলোঅন এড়াতে এখনও স্বাগতিকদের প্রয়োজন ৭২ রান।
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনটা ছিল বাংলাদেশের। শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে এগিয়ে থেকেই দিন শেষ করেছিল টিম টাইগার্স। তবে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে অশ্বিন আর কুলদ্বীপের ব্যাটে ভর করে চারশ ছাড়ায় সফরকারীদের সংগ্রহ। এরপর বল হাতেও ঝড় তুললেন কুলদ্বীপ আর সিরাজরা। এ দুই বোলারের তোপে শুরুর আগেই যেন শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

উইকেট হারানোর মিছিলে দিন শেষের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা ছিল। তবে মিরাজ আর এবাদতের ব্যাটে কোনো মতে দিন পার করেছে বাংলাদেশ। ৩৫ বল খেলে ১৬ রানে অপরাজিত আছেন মিরাজ। এছাড়া এবাদত ২৭ বল খেলে করেছেন ১৩ রান।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) ভারতের প্রথম ইনিংসের ৪০৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের প্রথম বলেই বিদায় নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মোহাম্মদ সিরাজের করা ওয়াইড লেংথের বলে উইকেটরক্ষক রিশভ পন্তকে ক্যাচ দেন তিনি। ওয়ানডাউনে নামা ইয়াসির আলি এসেও ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। উমেশ যাদবের বলে ইনসাইড-এজ হয়ে স্টাম্প হারিয়ে ফেলেন তিনি। ফেরার আগে ১৭ বলে ৪ রান করেন ইয়াসির।

 

তিন উইকেট হারিয়ে ফেলার পর লিটন দাস ও জাকির হাসানের ব্যাটে আক্রমণ শুরু করে বাংলাদেশ। টাইগারদের সেই আক্রমণ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। আশা-ভরসার পাত্র লিটন দাসকে ফিরিয়ে তাতে বাগড়া দেন ভারতের মোহাম্মদ সিরাজ। লিটন আউট হন ব্যক্তিগত ২৪ রানে। ৩০ বলে তার ইনিংসে ছিল ৫টি ছারের মার। অভিষিক্ত জাকির হাসানও জ্বলে উঠতে পারেননি। ভালো ইনটেন্ট দেখিয়েও তিনি আউট সিরাজের বলে, ২০ রানে।

জাকিরের বিদায়ের পর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে কিছুটা সময় অতিবাহিত করেন সাকিব আল হাসান। ২৫ বল খেলে ৩ রান করে তিনি কুলদীপ যাদবের শিকারে পরিণত হন। এরপর শর্ট লেগে শুভমান গিলের চমৎকার রিফ্লেক্স ক্যাচে বিদায় নেন নুরুল হাসান সোহান। ৯৭ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

চরম বিপর্যয়ে পড়া দলকে টানতে পারলেন না অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও। তাকে এলবিডব্লিউ করার পর তাইজুল ইসলামকে বোল্ড করে করেন কুলদিপ যাদব।

ভারতের হয়ে কুলদীপ যাদব নিয়েছেন সর্বোচ্চ চারটি উইকেট। এছাড়া সিরাজের দখলে গেছে তিনটি উইকেট।

এর আগে সব কটি উইকেট হারিয়ে ৪০৪ রান সংগ্রহ করেছিল ভারত। চেতেশ্বর পূজারা ও শ্রেয়াস আইয়ার, দুজনেই আউট হন শতকের কাছাকাছি গিয়ে। বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপের বিপক্ষে পূজাররা ৯০ ও আইয়ার ৮৬ রান করেন। হাফসেঞ্চুরি করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বিপরীতে তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ, দুজনেই পান ৪টি করে উইকেট।