‘বর্ডার সাইড অ্যানিমেল ডিটেক্টর’ উদ্ভাবনে তিন শিক্ষার্থীর চমক

ভোলার লালমোহন হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা ‘বর্ডার সাইড অ্যানিমেল ডিটেক্টর’ তৈরি করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। গতকাল সকালে লালমোহন উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় তাদের এই উদ্ভাবনটি প্রদর্শন করা হয়।
মাত্র একদিনের প্রচেষ্টায়ই নতুন এই প্রযুক্তিটি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন লালমোহন হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সোয়াইব হোসেন সোহান, মোহাম্মদ জুবায়ের ও দ্বীপ নন্দী। তাদের উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তিতে ব্যবহার করা হয়েছে আরডিউনো কার্ড ও পিআরআই সেন্সর। যা দেশের বর্ডার দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ ও চোরাচালান করলে সংকেত দিবে কাছে থাকা বিজিবি ক্যাম্পে। যার মাধ্যমে সতর্ক হতে পারবেন বিজিবি সদস্যরা। এই বর্ডার সাইড অ্যানিমেল ডিটেক্টরটি চলবে ব্যাটারির মাধ্যমে। উদ্ভাবনকারী শিক্ষার্থী সোয়াইব হোসেন সোহান জানান, সরকারি সহায়তা পেলে নামমাত্র মূল্যে বিজিবি’র কাজে ব্যবহারের জন্য এ বর্ডার সাইড অ্যানিমেল ডিটেক্টরটি সম্পূর্ণভাবে উপযোগী করা সম্ভব হবে। যার মাধ্যমে বিজিবি খুব সহজেই সীমান্তের অপরাধ দমনে কাজ করতে পারবে। এই যন্ত্রটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে আশপাশের ৭ থেকে ৮ মিটার পর্যন্ত কাজ করবে। যার একটি তৈরিতে ১৫শ’ টাকার মতো খরচ হলেও, একসঙ্গে অনেকগুলো তৈরি করলে দাম পড়বে মাত্র দুই থেকে আড়াইশ’ টাকা।

লালমোহন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও অনুষ্ঠিত ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ গিয়াসউদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা উপলক্ষে কয়েকটি স্টল বসেছে। যার মধ্যে লালমোহন হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবন করা এই প্রযুক্তিটি ব্যতিক্রম। পরিপূর্ণ করে তৈরি করতে পারলে এটি বাংলাদেশ বিজিবি ব্যবহার করে উপকৃত হবে, দেশ উপকৃত হবে। সরকারিভাবে সহায়তা দিলে শিক্ষার্থীদের চিন্তা আরও প্রকাশ হবে। যাতে করে সৃষ্টি হবে দেশের সম্পদ। অন্যদিকে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতায় ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা উপলক্ষে রোববার সকালে লালমোহনে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া বসেছে বেশ কয়েকটি স্টল। ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইমরান মাহমুদ ডালিম, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান রিমন, ওসি মাহাবুবুর রহমান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামসহ আরও অনেকে।