ইউক্রেনের নতুন কোনো অঞ্চল দখলের ইচ্ছে নেই রাশিয়ার: পেসকভ

রাশিয়া নতুন করে ইউক্রেনের আর কোনো অঞ্চল দখল করতে চায় না। তবে রাশিয়ার যেসব এলাকা ইউক্রেন দখল করে রেখেছে তা উদ্ধারে সামরিক অভিযান চলবে। দুই দেশের চলমান সংঘাতের ভবিষ্যৎ নিয়ে এমন বার্তাই দিয়েছে ক্রেমলিন। এর মাধ্যমে মূলত বুঝানো হয়েছে, খেরসন, দনেতস্ক ও ঝাপোরিঝিয়ার যেসব এলাকা এখনও ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর অধীনে আছে তা দখল করাই এখন রাশিয়ার প্রধান টার্গেট। এ খবর দিয়েছে স্পুটনিক।
গত সেপ্টেম্বরে এক বিতর্কিত গণভোটের মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে নিজের সঙ্গে যুক্ত করে রাশিয়া। এই গণভোটকে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইউক্রেন ও পশ্চিমা বিশ্ব। নতুন যুক্ত হওয়া চার অঞ্চলের মধ্যে শুধু লুহানস্কই পুরোপুরি রাশিয়ার অধীনে আছে। বাকি তিন অঞ্চলের অনেক এলাকা এখনও ইউক্রেনের অধীনে রয়ে গেছে। রাশিয়া এখন বলছে, তারা শুধু এসব অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায়, নতুন করে ইউক্রেনের কোনো এলাকা দখল করতে চায় না। বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, রাশিয়া যে চার অঞ্চলের উপরে নিজের স্বার্বভৌমত্ব দাবি করছে তার স্বীকৃতি দেয় না বহির্বিশ্ব।

সে হিসেবে রাশিয়াই ইউক্রেনের ভূমি দখল করে আছে। তবে রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনের যে চার অঞ্চলের মানুষ ভোট দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে চেয়েছে তা এখন রাশিয়ার ভূমি। এখন এসব অঞ্চলকে পুরোপুরি রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে আনতে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চলছে। পেসকভের ভাষায়, খেরসন, ঝাপোরিঝিয়া, দনেতস্ক ও লুহানস্কের শতভাগ এলাকা রাশিয়ার অধীনে এলেই ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শেষ হবে। এরপর নতুন করে ইউক্রেনের আর কোনো এলাকা দখলের পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার।