প্রকাশ্যে প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে তালেবানরা

তালেবানরা নতুন করে ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবার প্রকাশ্যে একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। পশ্চিমাঞ্চলীয় ফারাহ প্রদেশে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল দিয়ে কয়েক শত উৎসুক জনতা, তালেবানদের সিনিয়র কমপক্ষে এক ডজন কর্মকর্তার সামনে একটি স্টেডিয়ামে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এ তথ্য দিয়েছেন তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ। বুধবার তিনি এই ঘোষণা দেন বলে খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। এর মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের নতুন শাসকরা তাদের কঠোর নীতি বাস্তবায়ন করবে- এমনটাই জোরালোভাবে ফুটে উঠেছে। তালেবানরা আফগানিস্তানে ইসলামী আইন বা শরীয়া ভিত্তিক আইন চালু করার পক্ষে জোরালো অবস্থানে। জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় খুবই সতর্কতার সঙ্গে। দেশের তিনটি হাইকোর্ট এবং তালেবানের সুপ্রিম নেতা মোল্লা হায়বাতুল্লাহ আখুনজাদার অনুমোদনের পর কার্যকর হয় মৃত্যুদণ্ড।
আল জাজিরা লিখেছে, এই শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন হেরাত প্রদেশের তাজমির নামের এক ব্যক্তি। ৫ বছর আগে অন্য একজনকে তিনি হত্যা করে তার মোটরসাইকেল এবং মোবাইল ফোন নিয়ে যান। এ বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।

যাকে তিনি হত্যা করেছিলেন তার নাম মুস্তাফা। তার বাড়ি ফারাহ প্রদেশে। মুস্তাফার পরিবার তাজমিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পর নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা তাকে গ্রেপ্তার করে। তবে কখন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা বলা হয়নি। জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তাজমির। তাকে নিহত মুস্তাফার পিতা একটি অ্যাসল্ট রাইফেল দিয়ে তিনটি গুলি করে মৃতুদণ্ড কার্যকর করেছেন।
গত মাসে আফগানিস্তানের বিচারকদের ইসলামিক আইন বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ দেন তালেবান নেতা আখুনজাদা। এরপর এটাই প্রকাশ্যে কোনো মৃত্যুদণ্ড। এর আগে ১৯৯০ এর দশকে তালেবানরা ক্ষমতায় ছিল। সে সময় তারা প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। চাবুক মেরে বা পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।
ওদিকে প্রথম প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্তোনিও গুতেরাঁ। বুধবার তার মুখপাত্র স্টিফেনি ট্রেমব্লে এ তথ্য জানিয়েছেন।