ইউক্রেন যুদ্ধ বহুদিন ধরে চলার ইঙ্গিত পুতিনের

ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ বহুদিন ধরে চলতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বুধবার রাশিয়ার মানবাধিকার কাউন্সিলের বার্ষিক বৈঠকে এ কথা জানান তিনি। পুতিন বলেন, রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ অনেক দীর্ঘ সময়ের জন্য হতে পারে। তবে তিনি আশ্বস্ত করেছেন, যুদ্ধ যতদিনই চলুক না কেনো এখনও নতুন করে সেনা মোবিলাইজেশনের কোনো কারণ নেই। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।

রাশিয়া এরইমধ্যে তিন লাখ সেনা মোবিলাইজেশন করেছে। রুশ প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, সেই তিন লাখের মাত্র অর্ধেক সেনা ইউক্রেনে পৌঁছেছে এবং ৭৭ হাজার যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে। বাকি এক লাখ ৫০ হাজার সেনা এখনও প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। তাদেরকেও পর্যায়ক্রমে যুদ্ধক্ষেত্রে মোতায়েন করা হবে। এমন অবস্থায় নতুন করে মোবিলাইজেশনের কোনো কারণ নেই। পুতিন বলেন, লড়াই দীর্ঘায়িত হলেও রাশিয়া এরইমধ্যে উল্লেখযোগ্য ফলাফল পেতে শুরু করেছে।

ইউক্রেনের চার অঞ্চল রুশ ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এই অঞ্চলগুলো রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় আজভ সাগর রাশিয়ার ‘অভ্যন্তরীণ সাগরে’ পরিণত হয়েছে। রুশ শাসক পিটার দ্য গ্রেট এই স্বপ্ন দেখেছিলেন।
প্রেসিডেন্ট পুতিন কখনও প্রকাশ্যে যুদ্ধ নিয়ে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা বলেন না। তবে গত জুলাই মাসে তিনি বলেছিলেন, রাশিয়ার অভিযান মাত্র শুরু হয়েছে। যদিও এরপরে কয়েক দফায় ইউক্রেনের কাছে বিভিন্ন অঞ্চল ছেড়ে পিছু হটতে হয়েছে রুশ বাহিনীকে। তবে এগুলোকে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছেন না পুতিন। তিনি এরইমধ্যে জানিয়েছেন, এই অভিযান শুরু নিয়ে তার কোনো আক্ষেপ নেই এবং সবকিছু পরিকল্পনা মতই চলছে।

এদিকে রাশিয়া আগ বাড়িয়ে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না বলে এ বৈঠকে জানান দিয়েছেন পুতিন। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার ওপর হামলা চালানো হলেই কেবল এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে পাল্টা জবাব দেয়া হবে। এ সময় পারমাণবিক যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার হুমকি দিন দিন বাড়ছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই হুমকির বিষয়টি আড়াল করে রাখাটা ভুল হবে। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনাও করেন তিনি। বলেন, অন্য কোনো দেশে আমাদের পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করা নেই। তবে তুরস্কসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে এ ধরনের অস্ত্র মোতায়েন করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। পুতিন আরও বলেন, রাশিয়ানরা যে কোনো মূল্যে নিজেদের রক্ষা করবে।