জনস্বাস্থ্য বিশ্লেষক না থাকায় বন্ধ আছে খাদ্য নমুনা সংগ্রহের কাজ

রাজধানীর বাসিন্দাদের নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করার জন্য সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা খাদ্যের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠান। কিন্তু ল্যাবরেটরিতে জনস্বাস্থ্য বিশ্লেষক না থাকায় বন্ধ আছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের খাদ্য নমুনা সংগ্রহের কাজ। ফলে রাজধানীর বাসিন্দাদের খাদ্য নিরাপত্তা যেমন ঝুঁকিতে রয়েছে, অপরদিকে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে। নতুন বিশ্লেষক না আসা পর্যন্ত এই অচলাবস্থার সমাধান হচ্ছে না।

পরীক্ষার পূর্ণ সুবিধা থাকার পরও রসায়নবিদ ও সহকারী রসায়নবিদসহ সংশ্লিষ্টদের অলস সময় পার করতে হচ্ছে। জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনে মোট ১৬ জন স্বাস্থ্য পরিদর্শক রয়েছেন। আর বঙ্গবাজারে অবস্থিত পরীক্ষাগারে ৫৯টি খাদ্য ও পানীয়ের নমুনা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা আছে।

ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা জানিয়েছেন, গত ২৬ অক্টোবর বঙ্গবাজারে অবস্থিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আধুনিক খাদ্য পরীক্ষাগার ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের জনস্বাস্থ্য বিশ্লেষক বদলি হন। এরপর আর নতুন কোনও জনস্বাস্থ্য বিশ্লেষককে পদায়ন করা হয়নি। পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় গত দেড় মাস ধরে খাদ্য নমুনা সংগ্রহের করা হচ্ছে না।

এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এক স্বাস্থ্য পরিদর্শক বলেন, ‘দাফতরিক কোনও চিঠির মাধ্যমে আমাদের খাদ্য নমুনা সংগ্রহ স্থগিত করা হয়নি। কিন্তু যেহেতু নমুনা সংগ্রহ করার সাত দিনের মধ্যে পরীক্ষা করার নিয়ম আছে, কিন্তু আমাদের পরীক্ষার ফলাফলের সনদের স্বাক্ষরকারী বা প্রত্যয়নকারী কর্মকর্তা জনস্বাস্থ্য বিশ্লেষক নেই, তাই আমাদের সংগ্রহ কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।’

একই কথা জানিয়েছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা। তারা জানিয়েছেন, কার্যক্রমে স্থবিরতা আসায় মামলা পরিচালনা কার্যক্রমে স্থবিরতা এসেছে।

এ বিষয় জিজ্ঞেস করা হলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা ফজলে শামসুল কবির বলেন, ‘আমাদের নমুনা সংগ্রহ কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত রয়েছে। আমাদের নতুন জনস্বাস্থ্য বিশ্লেষকের প্রেষণে পদায়নের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে। হয়তো আগামী দুই তিন দিনের মধ্যে নতুন কর্মকর্তা চলে আসবেন।’

তিনি জানান, এর আগে ২০১৮ সালে প্রায় ১০ মাস এ কার্যক্রম বন্ধ ছিল।