নিজেদের নতুন করে খুঁজে পেলো উরুগুয়ে

    প্রথম সুযোগটা এলো ঘানার কাছেই। তারা পেয়ে গেল পেনাল্টি, কিন্তু খুঁজে পেলো না জালের দেখা।

    এরপর যেন নিজেদের নতুন করে খুঁজে পেলো উরুগুয়ে। ছয় মিনিটের ব্যবধানে তারা দিলো দুই গোল। কিন্তু বাকি সময়ে আর একবারও পারলো না বল জড়াতে। জয়ের পরও বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে উরুগুয়ের।

    শুক্রবার আল জানুব স্টেডিয়ামে গ্রুপ ‘এইচ’ এর ম্যাচে ঘানাকে ২-০ গোলে জয় হারিয়েছে উরুগুয়ে। কিন্তু তাদের সমান পয়েন্ট ও গোল ব্যবধান নিয়েও ফেয়ার প্লেতে এগিয়ে থাকায় দক্ষিণ কোরিয়া চলে গেছে শেষ ষোলোতে। এই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পর্তুগাল।
    ম্যাচের ১৬তম মিনিটে প্রথম সুযোগ আসে ঘানার সামনে। জর্দান আইয়ের বাঁ পাশ থেকে নেওয়া শট ঠিকঠাক ঠেকাতে পারেননি উরুগুয়ের গোলরক্ষক রসেত। দ্বিতীয় চেষ্টায় বল আটকাতে গিয়ে তিনি ধাক্কা খান আন্দ্রে আইয়ের সঙ্গে। পরে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে রেফারি এটিকে পেনাল্টি দেন।

    তবে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় ঘানা। আন্দ্রে আইয়ে শট নিতে সময় নেন বেশি, তার দুর্বল শট বাঁ পাশে ঝাঁপিয়ে ঠেকান রসেত। এরপর যেন ছন্দ খুঁজে পায় উরুগুয়ে।

    কিছুক্ষণ পরই দারুণ এক সুযোগ তৈরি করেন ডারউইন নুনেস। ঘানার গোলরক্ষক জায়গা থেকে বেরিয়েও এসেছিলেন। কিন্তু নুনেসের শট ঠেকিয়ে দেন সালিসু। গোলের জন্য অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি উরুগুয়েকে।

    ২৬তম মিনিটে গোল করেন সিউরিসিয়ান দে আররাসেতা। প্রথমে লুইস সুয়ারেসের দুর্বল শট ঠেকান ঘানার গোলরক্ষক। ফিরতি শটে গোল করেন তিনি। এটাই এবারের বিশ্বকাপে উরুগুয়ের প্রথম গোল ছিল।

    এর ছয় মিনিট পর দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় তারা। এবারও গোলদাতা সেই দে আররাসেতা। আরও একবার সুয়ারেসের কাছ থেকে বল পেয়ে গোল করেন তিনি। বিরতির আগে আরও কয়েকটি আক্রমণ করলেও গোলের দেখা পায়নি উরুগুয়ে।

    দ্বিতীয়ার্ধে দুই বদল আসে ঘানার একাদশে। ৪৭ মিনিটে দারুণ এক সুযোগও পায় তারা। কিন্তু বাবা বক্সের ভেতর বল পেয়েও মারেন পোস্টের বাইরে দিয়ে। ৭৬ মিনিটে ভালভার্দের শট আটকে দেন ঘানার গোলরক্ষক। এক মিনিট পর কুদুস সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। শেষদিকে আরও কিছু সুযোগ এলেও কাজে লাগাতে পারেনি কোনো দল।