পদ্মা-মেঘনা বিভাগের সিদ্ধান্ত স্থগিত: আইনমন্ত্রী

সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে পদ্মা ও মেঘনা নামে নতুন দুই বিভাগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে।রোববার (২৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস-সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে নিকার বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব উঠলে প্রস্তাব দুটি চলতি বছরের জন্য স্থগিত করা হয়। ফলে এ বছর আর হচ্ছে না পদ্মা-মেঘনা বিভাগ।

তবে বাকি এজেন্ডাগুলো অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী। এ নিয়ে বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন।

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে কেন্দ্র করে যথাক্রমে পদ্মা ও মেঘনা বিভাগ হওয়ার কথা ছিল।

জানা গেছে, বিভাগ দুটি করলে কমপক্ষে ১ হাজার কোটি টাকা করে অন্তত ২ হাজার কোটি টাকা প্রাথমিকভাবে দরকার। সেই সঙ্গে প্রতিটি বিভাগে অন্তত ২৮টি করে নতুন দফতর খুলতে হতো। সেসব দফতরে জনবলসহ আনুষাঙ্গিক অনেক বিষয় জড়িত। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকার উন্নয়ন কাজের অর্থ বরাদ্দে গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই নতুন বিভাগের কাজ আগামী অর্থবছর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।

বৈঠকের অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, এ দুটি বিভাগ করা নিয়ে অন্যান্য জেলা, নামকরণসহ অনেক বিষয় বিবেচনায় নিতে হচ্ছে। তাই সব মিলিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকার আপাতত এ সিদ্ধান্ত থেকে পেছাল।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রের পূর্বের তথ্যমতে, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ওপর চাপ কমানো এবং প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে প্রায় এক দশক আগে থেকেই নতুন বিভাগ গঠনের আলোচনা হচ্ছে। ঢাকা বিভাগের বৃহত্তর ফরিদপুরের ৫টি জেলা – ফরিদপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর নিয়ে পদ্মা বিভাগ। অন্যদিকে চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর – এ ছটি জেলা মিলে মেঘনা বিভাগ হওয়ার কথা।

দেশে বর্তমানে ৮টি প্রশাসনিক বিভাগ রয়েছে। এর সবকটিই সংশ্লিষ্ট বড় শহরের নাম অনুসারে নামকরণ হয়েছে। এবারই প্রথম স্থানীয় শহরের নামের বাইরে বিভাগের নামকরণ হতে যাচ্ছে। এ দুটি বিভাগ অনুমোদন পেলে মোট বিভাগের সংখ্যা দাঁড়াবে ১০টিতে। বিভাগ হচ্ছে মাঠ প্রশাসনের সবচেয়ে বড় প্রশাসনিক ইউনিট। এর পরই রয়েছে জেলা ও উপজেলার অবস্থান।