বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির আরও একটি ‘বিশ্ব-মুকুট’

ব্লিউএমইউ প্রেসিডেন্ট ড. ক্লিওপেট্রা ডুম্বিয়া হেনরী ও বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট চার্টার্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ড. জিদ হোসেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে শিক্ষা-সহযোগিতার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন।

সম্প্রতি সুইডেনের মালমো শহরে জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও লন্ডন) কর্তৃক স্থাপিত ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতে (ডব্লিউএমইউ সুইডেন) এই ‘মেরিটাইম মাইলস্টোন মুহূর্ত’ অনুষ্ঠিত হয়।

ডব্লিউএমইউ সুইডেনের ৩০ সদস্য-বিশিষ্ট বোর্ড অব গভর্নমেন্ট একজন গভর্নর হিসাবে বোর্ডের ৩৭তম সভায় অংশগ্রহণের জন্য কমান্ড্যান্ট সাজিদ এখন সুইডেনে অবস্থান করছেন।

এই নতুন সমঝোতা স্মারকের উদ্দেশ্য হল, জাহাজ চলাচল, অন্যান্য মেরিন ও সংশ্লিষ্ট সামুদ্রিক এলাকায় যৌথ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দুটি পক্ষের মধ্যে একটি আইনগত নিবিড় যোগাযোগ স্থাপন করা।

কাক্সিক্ষত শিক্ষা-সহযোগিতাগুলো হল-বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির শিক্ষকগণের ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, শিক্ষা-বিনিময়, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির পেশাগত উন্নয়ন কোর্স পরিচালনা, ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির শিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, শিক্ষক বিনিময় ও যৌথ গবেষণা পরিচালনা।

স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ডব্লিউএমইউ প্রেসিডেন্ট ক্লিওপেট্রা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, সামুদ্রিক পরিবেশ সম্পর্কিত একটি নতুন স্নাতকোত্তর কোর্স উদ্ভাবন করে ডব্লিউএমইউ সুইডেন,ডালিয়ান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি (চীন) এবং বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির যৌথ-কার্যক্রমে পরিচালনা করা হবে।

বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি ১৯৯০ সন থেকে ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির ১৪টি শাখার অন্যতম ছিল। ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন সিদ্ধান্তে ২০১৭ সন থেকে ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির ১৪টি শাখা বিলুপ্ত করা হয় এবং একই সঙ্গে আরো সিদ্ধান্ত গৃহীত যে, পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে যে সকল শাখা ‘যোগ্য‘ বিবেচিত হবে, শুধু তাদেরকে পার্টনার ইনস্টিটিউশনে উন্নীত করা হবে। বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিসহ ৩টি প্রতিষ্ঠান এমু হূর্তে যোগ্যতা অর্জন করেছে। সর্বোচ্চ আরও ৪টি প্রতিষ্ঠান এই যোগ্যতা অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে।