ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং প্রাণ কাড়লো ১২ জনের

    ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দেশের ৭ জেলায় অন্তত ১২ জনের প্রাণ কেড়েছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে গাছ চাপা, দেয়াল চাপা ও নৌকাডুবিতে তাদের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে একই পরিবারের ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, সিরাজগঞ্জে ২ জন এবং শরীয়তপুর, বরগুনা, নড়াইল ও ঢাকায় একজন করে রয়েছেন।

    নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি জানান, গতকাল রাত ৯টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড়ো বাতাসে উপজেলার হেসাখাল পশ্চিম পাড়ায় ঘরের ওপর গাছ পড়ে। এতে বাবা, মা ও তাদের শিশুকন্যা নিহত হন। নিহতরা হলেন- নেজাম উদ্দিন (৩০), সাথী আক্তার (২৫) ও লিজা আক্তার (৪)।
    ভোলা প্রতিনিধি জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড়ো বাতাসে গাছচাপায় ভোলা সদরে একজন ও চরফ্যাশন উপজেলায় ২ জন নিহত হয়েছেন। চরফ্যাশনে নিহতরা হলেন- বিবি খাদিজা (৮০) ও মনির হোসেন (৩০)।
    বরগুনা প্রতিনিধি জানান, বরগুনা সদর উপজেলার বুড়ির চর এলাকায় শতবর্ষী আমেনা বেগম নিহত হয়েছেন। রাত ৮টার দিকে ঝড়ো বাতাসে ঘরের চালের ওপর গাছ পড়লে শতবর্ষী আমেনা বেগম ঘটনাস্থলেই মারা যান।

    নড়াইল প্রতিনিধি জানান, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কাছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দমকা বাতাসে ভেঙে যাওয়া গাছের ডালের আঘাতে এক নারী নিহত হয়েছেন। নিহত মর্জিনা বেগম (৩২) উপজেলার পৌর এলাকার রাজুপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি গৃহকর্মীর কাজ করতেন।

    শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জেলার জাজিরা উপজেলায় সিদারচর গ্রামে গাছের ডাল ভেঙে পড়লে সফিয়া খাতুন (৬৫) নিহত হন।

    সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, গতকাল রাত ৮টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দমকা বাতাসে মোহনপুর এলাকায় একটি খালে নৌকাডুবিতে আয়েশা সিদ্দিকা (৩০) ও তার ছেলে আরাফাত (৩) মারা যান। আয়েশা কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে ঝড়ের কবলে পড়েন তারা।

    এদিকে ঝড়ো বাতাসে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় দেয়াল ভেঙে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।