বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, পুলিশ ও প্রশাসনের ভোট চোরদের তালিকা করা হচ্ছে। এইবার আর ভোট চুরি করতে দেয়া হবে না। ভোট চোররা পালাতে পারবে না। দেশ ও বিদেশ থেকে নজরদারি করা হচ্ছে। জনগণের চাল ডাল কেনার টাকা নেই, অথচ আট হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ভোট চুরির ইভিএম কেনা হচ্ছে। সরকার বলছে, দেশে দুর্ভিক্ষ আসছে। দেশে এখন নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। মানুষ দু’বেলা দুমুঠো খেতে পারছে না। গ্যাস নেই, বিদ্যুৎ নেই। তিনি বলেন, গণজোয়ার দেখে সরকার ভীত হয়ে গেছে।
দেশের মানুষ বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে রাজপথে নেমে এসেছে। এই জোয়ার থামানো যাবে না।
শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেনের দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এ কে এম মোশাররফ হোসেন ছিলেন সদালাপী বন্ধু বৎসল, মহৎপ্রাণ, নিরহংকার, দুর্লভ মানবিক গুণাবলীর মানুষ।
উদযাপন কমিটির আহবায়ক মোঃ জাকির হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়ারেস আলী মামুন ও শরিফুল আলম, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, মহানগর আহ্বায়ক অধ্যাপক এ কে এম শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ, অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, আলমগীর মাহমুদ আলমসহ জেলা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। স্মরণ সভায় কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, মোশাররফ হোসেনের দৃষ্টি ছিল দেশের উন্নয়নের দিকে। তিনি বিনিয়োগ বোর্ড গঠন করে শিল্প উন্নয়নের সকল বাঁধা দূর করেছিলেন। দেশের উন্নয়নের রাজনীতিতে তাঁর অবদানের কথা দেশবাসী স্মরণ রাখবে।











