বৃটেনে আতঙ্ক: সাগরতলে মাইন পুঁতেছেন পুতিন!

বৃটেন সহ ইউরোপে নতুন এক আতঙ্ক। তারা মনে করছে নতুন এক কৌশলে তাদেরকে টার্গেট করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরই মধ্যে তিনি এসব দেশের সমুদ্রতল দিয়ে বহমান বিদ্যুৎ বা জরুরি জ্বালানি সরবরাহের লাইন এবং ইন্টারনেট ক্যাবলকে টার্গেট করে মাইন পেতে রেখেছেন। এমন আতঙ্ক থেকে বৃটেনের মন্ত্রীরা জরুরি ভিত্তিতে এসব ক্ষেত্রে সার্ভে বা নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল।

সম্প্রতি বাল্টিক সাগরের নিচ দিয়ে বহমান গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস পাইপলাইনে বিস্ফোরণ হয়। এরপর থেকেই ক্রেমলিন যাতে এসব খাতে আর হামলা চালাতে না পারে, সেজন্য নর্থ সি বা উত্তর সাগরে এ সপ্তাহে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছেন বৃটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস। তারপর অন্য মন্ত্রীরা এখন নৌবাহিনীকে গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস পাইপলাইন এবং ইন্টারনেট সরবরাহকারী ক্যাবল লাইনে নজরদারি বাড়াতে বলেছেন। আতঙ্ক, এক্ষেত্রে রাশিয়া মাইন পেতে রাখতে পারে। ওদিকে নর্ড স্ট্রিম ১ এবং ২ গ্যাস পাইপলাইনে গত মাসে যে বিস্ফোরণ হয়েছে, তা তদন্ত করছে ড্যানিশ সরকার। ইউরোপে এই দেশটিতে রয়েছে জ্বালানির তীব্র সংকট।

গ্যাস পাইপলাইনে স্যাবোটাজের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে মস্কো।

তারা বলেছে, এই পাইপলাইনের সঙ্গে তো তারা নিজেরাই যুক্ত। কিন্তু পশ্চিমা কর্মকর্তারা মনে করেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে নতুন নতুন অবরোধ দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। এর প্রতিশোধ নিতে জ্বালানি সরবরাহকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করছেন ভ্লাদিমির পুতিন। ফলে তিনিই ওই গ্যাস পাইপলাইনে হামলার নির্দেশ দিয়ে থাকতে পারেন। বৃটিশ সরকারের একটি সূত্র বলেছেন, ড্যানিশ সরকার যে তদন্ত করছে সেদিকে ঘনিষ্ঠ নজর রাখছে সবাই। সুস্পষ্টত, তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন আছে। তারা কি আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার দিকে আঙ্গুল তোলার মতো তথ্যপ্রমাণ পাবে? কিন্তু আরও প্রশ্ন আছে। তা হলো, কিভাবে ওই হামলা হয়েছে। এটা কি সরাসরি কোনো হামলা? অথবা গ্যাস পাইপলাইন উড়িয়ে দেয়ার জন্য আগে থেকেই সেখানে মাইন পেতে রাখা হয়েছিল কিনা?
ওদিকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কিকে শুক্রবার রাতে আহ্বান জানিয়েছেন, তিনি যেন ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব উড়িয়ে না দেন।