বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেছেন, এই ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা সরকারের দিন শেষ হয়ে এসেছে। এখন আর সময় নেই। এবার ফয়সালা হবে কিভাবে এই ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা সরকারের পতন হবে। আগামী ১২ অক্টোবরের আগেই পদত্যাগ করুন, অন্যাথায় একটি সমাবেশে আপনাদের পতন কিভাবে হবে জনগণ সেটা নির্ধারণ করবে। আগামী ১২ তারিখের গণসমাবেশ হবে লাখো লাখো জনগণে জনসমুদ্্র। আর এই সমাবেশেই প্রমাণ করবে শেখ হাসিনা সরকারের পতন কিভাবে হবে সেটা। যেদিকে যাবে সেদিকে জনগণ আওয়ামী লীগ নেতা ও তাদের দোসরদের প্রতিহত করবে। পালানোর কোন পথই তারা পাবে না।
আজ শুক্রবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে নগরীর নিউ মার্কেটের দোস্তবিল্ডিংস্থ দলীয় কার্যালয়ে আগামী ১২ অক্টোবর বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. শাহজাহান আরো বলেন, সারাদেশে এখন এক অরাজকতা বিরাজ করছে। যেদিকে যায় সেদিকে শুধু লুটপাট, দূর্নীতি, গুম খুন আর জনগণের আহাজারি। জনগণ আজকে ভালো নেই, দ্রব্যমূল্যের যে উর্ধ্বগতি, তাতে জনগণের নাভিশ্বাস নেমে এসেছে। জনগণ এই সরকারের বিরুদ্ধে এখন যেভাবে রাজপথে নেমে এসেছে। এই সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে, জনগণের বিস্ফোরণে এই সরকারের পতন হবে শিগগিরই।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, আগামী ১২ অক্টোবরের গণসমাবেশ হবে জনসমুদ্রে রূপান্তর। এই সমাবেশ থেকে হবে শেখ হাসিনার পতনের চূড়ান্ত ফয়সালার ডাক। আগামী ১২ অক্টোরের গণসমাবেশে দলে দলে জনগণের যে জনসমুদ্রে পরিণত হবে তাতেই শেখ হাসিনার অবৈধ ক্ষমতার মসনদ কেপে উঠবে। এই সরকার অবৈধ সরকার জোরদখল করে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। এই সরকারকে আর সুযোগ দেওয়া যাবে না এই বছরই হবে এই সরকারের শেষ সময় ইনশাল্লাহ।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহমেদ।
সভায় রাখেন আনোয়ারা উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক মোশাররফ হোসেন, চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট ইফতেখার মহসিন চৌধুরী, আবদুল গাফফার চৌধুরী, কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক এসএম মামুন মিয়া, লোহাগড়া উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক জামাল হোসেন, আনোয়ারা উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন, বাঁশখালী উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক মোহাম্মদ লোকমান, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক হাজী মোহাম্মদ ইছহাক চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সদস্য এডভোকেট ফোরকান উদ্দিন, হাজী রফিকুল আলম, মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জাহেদ, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, এডভোকেট ফৌজুল আমিন, মঈনুল আলম ছোটন, বাঁশখালী উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব রেজাউল হক চৌধুরী, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব হামিদুল হক মান্নান, চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব হাজী মোহাম্মদ ওসমান, সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব গোলাম রসূল মোস্তাক, চন্দনাইশ পৌরসভা বিএনপি’র আহবায়ক মাহদুর রহমান মাদু, বাঁশখালী পৌরসভা বিএনপি’র আহবায়ক রাসেল ইকবাল মিয়া, বোয়ালখালী পৌরসভা বিএনপি’র আহবায়ক শহীদুল্লাহ চৌধুরী, বাঁশখালী পৌরসভা বিএনপি’র সদস্য সচিব খোরশেদুল আলম আয়ুব, সাতকানিয়া পৌরসভা বিএনপি’র সদস্য সচিব আবদুর রহিম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কৃষকদলের আহবায়ক সৈয়দ এম সাইফু উদ্দিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোঃ শহিদুল আলম শহিদ, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুল ইসলাম রাহী, দক্ষিণ জেলা মহিলা দলের সভাপতি জান্নাতুল নাঈম চৌধুরী রিকু প্রমুখ।









