সিরিয়ায় কলেরা পরিস্থিতি ‘উদ্বেগজনক’, ৩৯ জনের মৃত্যু

সিরিয়ায় কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩৯ জন। এছাড়া আরও ছয় শতাধিক মানুষ এতে আক্রান্ত হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে ‘উদ্বেগজনক হারে’ এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে বলে সতর্কতা জারি করেছে জাতিসংঘ। দেশটির ১৪ প্রদেশের ১১টিতেই কলেরা সংক্রমণ বাড়ছে। এ খবর দিয়েছে আরব নিউজ।
খবরে জানানো হয়, গত মাস থেকেই ছড়াচ্ছে কলেরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, প্রতিদিনই নতুন নতুন স্থানে কলেরা শনাক্ত হচ্ছে। যে হারে এই রোগ ছড়াচ্ছে তা উদ্বেগজনক। তবে কলেরায় মারা যাওয়াদের বেশিরভাগই আলেপ্পোর বাসিন্দা। গত এক দশকে এই প্রথম বড় পর্যায়ে কলেরা সংক্রমণ দেখা গেলো সিরিয়ায়। মূলত দূষিত খাবার ও পানি থেকে এই রোগের বিস্তার ঘটে।

এতে আক্রান্ত হলে ডায়রিয়া এবং বমির প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এক পর্যায়ে শরীর দুর্বল হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে মানুষ।
যেসব আবাসিক এলাকায় যথাযথ নিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই সেখানে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এই রোগ। এর আগে ২০০৯ সালে সিরিয়ায় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল কলেরা সংক্রমণ। ধারণা করা হচ্ছে, এবার ফোরাত নদী থেকে ছড়িয়েছে এ রোগ। এই নদীটি বিশ্বের সবথেকে দূষিত নদীগুলোর একটি। তুরস্ক বাঁধ নির্মাণ করায় এর পানিপ্রবাহ কমে গেছে এবং আরও বেশি দূষিত হয়ে পড়েছে।
চরম দূষিত হওয়া সত্যেও সিরিয়ার ৫০ লাখের বেশি মানুষ এই নদীর উপরে নির্ভর করেন। তারা এই নদীর পানি খান বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, চিকিৎসা না পেলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই একজন মানুষকে মেরে ফেলতে পারে কলেরা। আক্রান্ত হওয়ার পর ঠিক মতো উপসর্গ প্রকাশেরও সুযোগ পাওয়া যায়না। প্রতি বছর বিশ্বের প্রায় ১৩ লাখ থেকে ৪০ লাখ মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়। মারা যান ২১ হাজার থেকে ১ লাখ ৪৩ হাজার জন।