এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম থেকে আবারো জেগে উঠতে হবে

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি এস.এম জিলানী বলেছেন,বাংলাদেশের জনগণ আজ শেখ হাসিনার পক্ষ নেই। কারণ তারা যতবার ক্ষমতায় এসেছে জনগনের সকল অধিকার হরণ করেছে। এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম থেকে আবারো জেগে উঠতে হবে।রাজপথ প্রকম্পিত করতে হবে। আমাদের গণতন্ত্র নেই । মানবাধিকার নেই । ভোটাধিকার নেই । বাক স্বাধীনতা নেই । দীর্ঘ ১২ বছর ধরে স্বৈরশাসক আমাদের ওপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালাচ্ছে । অব্যাহত নির্যাতনে নেতাকর্মীরা ক্ষতবিক্ষত । মিথ্যা মামলায় জর্জরিত । আমরা থেমে যাইনি ।তবুও আমরা জনগণের অধিকার আদায়ে রাজপথে আন্দোলন করছি। কোন স্বৈরশাসক এর বিরুদ্ধে যদি রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলতে হয় তাহলে সংগঠন কে শক্তিশালী করতে হবে।দেশকে বাচাতে আমাদের সবাইকে রাজপথে যে ডাক আসবে সে যুদ্ভে
শরিক হতে হবে।

শুক্রবার ( ২৩ সেপ্টেম্বর ) বিকেলে নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সমাবেশে  প্রধান অতিথির বক্তব্যে এস.এম জিলানী এসব কথা বলেন ।
তিনি আরো বলেন , নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ সবক্ষেত্রে সরকার ব্যর্থ । শেখ হাসিনা সরকারের পায়ের তলার মাটি শেষ । ভারতে গিয়েও তেমন সুবিধা করতে পারে নি । সাধারণ মানুষের মনে তার স্থান নাই । এক মিনিটের জন্যও আওয়ামী লীগ সরকারকে চায়না জনগণ ।

কর্মী সভায় প্রধান বক্তা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান বলেন,প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবকদল এর সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান বলেন, এই চট্টগ্রামের সাথে জাতীয়তাবাদী দলের, জাতীয়তাবাদী শক্তির এবং আমাদের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্ত্র প্রহরী জিয়া পরিবারের সাথে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক আছে।  এই চট্টগ্রাম থেকে অসংখ্য বীরের জন্ম হয়েছে।আমরা যারা শহীদ জিয়ার সৈনিক, তাদের চট্টগ্রামের প্রতি বিশেষ দূর্বলতা আছে কারণ এই চট্টগ্রাম থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে অবিস্মরণীয় ঘটনা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, যুদ্ধ করেছেন। যে স্বাধীনতার মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি। আমরা এখনো উনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে লড়াই করে যাচ্ছি।বিগত ১৫ বছর যাবৎ আমরা একটি লড়াই এর মধ্যে আছি। ১৯৭১ সালের যে লড়াই সেটি এখনো চলছে। ৭১ সালে যারা যুদ্ধ করেছেন তারা যদি প্রথম প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধা হয় তাহলে আমরা দ্বিতীয় প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধা। কারণ এই ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, মানুষের মতামত এর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, বাক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য আমরাও এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছি। সে একই প্রেক্ষাপটে আমরা আছি। পশ্চিম পাকিস্তানীরা যেভাবে  এদেশের মানুষের অর্থ ও ভাগ্য লুট করে নিয়ে যেত ঠিক একই কায়দায় আমাদের সম্পদ, আমাদের ভোটাধিকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী সরকার লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দেশের জনগণকে  তাদের এই লুটপাটের হিসেব দিয়ে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের নেত্রীর একটি স্বপ্ন আছে তা হলো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সৈনিকদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।  এই  লড়াই হলো চূড়ান্ত লড়াই যার  মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে, মানুষের লুন্ঠিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে।
বিশেষ অতিথি স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি ইয়াসিন আলী ,সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান।নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর পরিচালনায় কর্মী সভা অনুষ্টিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেন, আমাদের সমস্ত শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে রাজপথে নামতে পারলে হাসিনা চিরতরে ক্ষমতার মসনদ থেকে পালাতে বাধ্য হবে । মাফিয়া সরকার শত নির্যাতনের পরও জাতীয়তাবাদী শক্তিকে আটকে রাখতে পারেনি ।আমাদের আটকে রাখা যাবে না । চূড়ান্ত সফলতা না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে ।

কর্মী সভায় অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন আসাদুজ্জামান দিদার, শহিদুল্লাহ বাহার, মোঃ ইউসুফ, খায়রুল আলম দিপু, মুজিবুর রহমান, সাইদুল ইসলাম, হারুন অর রশিদ, হাজী মোহাম্মদ আলম,এন. আই চৌধুরী মাসুম,এম. এ সালাম,এ্যাড. নাসির উদ্দিন আহমদ খান রনি, হারুনুর রশিদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী মর্তুজা,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, গিয়াস উদ্দিন সেলিম, সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল হক টুটুল, আবু বক্কর রাজু, গোলাম সরোয়ার, মোহাম্মদ ওয়াকিল হোসেন, আনোয়ার হোসেন এরশাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ আলম, আব্দুল আহাদ রিপন, তারেক আহম্মেদ, আব্দুল হাই,আবু নাঈম মোহাম্মদ দুলাল, আকতার হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন,এমন.এ.হানিফ, দিদার হোসেন, আব্দুল মান্নান আলমগীর, মনির হোসেন, দেলোয়ার হোসেন বাবু, শাহাদাত হোসেন সোহাগ, কামাল হোসেন সামির, মোঃ জাকির হোসেন, ইমরান চৌধুরী বাবলু, এমদাদুল হক স্বপন, মোখলেছুর রহমান, আব্দুল মান্নান, মোঃ হাসান,গাজী নুহ সেলিম, এস্কান্দার মির্জা, মাহাবুব খালেদ, তাজুল ইসলাম নয়ন, নিজাম উদ্দিন বুলু, পাভেল হোসেন, রাসেল খান, মোহাম্মদ আলমগীর, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক খান, মোঃ লিটন, মোঃ নাসির উদ্দিন, মোঃ হিমেল, মিজানুর রহমান সাইফুল, সাইফুল আলম দিপু, ইকবাল হোসেন রুবেল, রবিউল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আকবর হোসেন মানিক, সাহিত্য সম্পাদক লুৎফর রহমান জুয়েল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক নুর আলম, সহ-প্রচার সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, সহ-দফতর সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম,সহ-সাহিত্য সম্পাদক রাশেদ পাটোয়ারী, সহ-আইন সম্পাদক জাকারিয়া আরকানী   প্রমুখ।