রাষ্ট্রযন্ত্রের সব অস্ত্র এখন বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে সরকার

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেছেন, মুন্সিগঞ্জের যুবদল নেতা শাওনকে হত্যার কয়েক দিন আগে ভোলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম ও নারায়নগঞ্জের শাওনকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। দীর্ঘ একযুগ ধরে এই আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার মানুষের ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার হরণ করেছে। রাষ্ট্রযন্ত্রের নিপীড়নের সব অস্ত্র এখন বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে গেছে। এর প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করার অধিকারও কেড়ে নিয়েছে সরকার। শাওনের এই আত্মত্যাগ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে আরো বেগবান করবে। তিনি শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে চাঁদগাও সিএন্ডবি রাস্তার মোড়ে চান্দগাঁও ওয়ার্ড যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন। চান্দগাঁও থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আলফাজ, ছাত্রনেতা আরফাত ও পারভেজের উপর ছাত্রলীগের হামলা এবং মুন্সিগঞ্জে শাওন হত্যার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে মিছিলটি চাঁন্দগাও মৌলভী পুকুর পাড় থেকে শুরু হয়ে আরাকান সড়ক, সানোয়ারা আবাসিক হয়ে সিএন্ডবি রাস্তার মোড়ে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় আবু সুফিয়ান বলেন, হত্যা, গুম থেকে শুরু করে মিথ্যা মামলায় দিয়ে কারাগারে পাঠানোর মতো কর্মসূচি অত্যন্ত সফলভাবে বাস্তবায়ন করছে আওয়ামী সরকার। নিজেদের ক্ষমতাকে কন্টকমুক্ত করার জন্য বিরোধী দলের অস্তিত্বকে দেশ থেকে সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলতে সব শক্তি নিয়োগ করেছে তারা। বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বিঘ্নে চলাচল করার অধিকারও কেড়ে নিয়েছে। তিনি অবিলম্বে শাওন হত্যাকারিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। অন্যথায় অচিরেই সরকার পতনের আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন লিপু, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, মোহরা ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি জানে আলম জিকু, চাঁন্দগাও থানা বিএনপি’র সি. যুগ্ন সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, বিএনপি নেতা নকিব উদ্দিন ভূঁইয়া, এসএম মোশারফ উদ্দি, সালামত আলী, মনসুর আলম, চান্দগাঁও থানা যুবদলের আহ্বায়ক গোলজার হোসেন, মহানগর যুবদলের কৃষি সম্পাদক নুরুল আমিন, আরিফুল ইসলাম, ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি নওশেদ আল জাসেদুর রহমান, অঙ্গসংগঠনের নেতা আব্দুল হাকিম, মো. জাহেদ, আবদুস সাত্তার, বদিউল আলম সাইফুল, কামাল হোসেন, নাজিম উদ্দিন, মো. শাহজান, নিজাম উদ্দিন রিয়াদ, আবদুল জলিল জয়. আরিফ মহিউদ্দিন, ইসমাইল জাহেদ, মো. আসিফ, মো. ইরফান, মো. নাদিম, আমজাদ হোসেন, ঝিনুক, আরাফাত, আরিফ ফাহিম, আলমগীর, ফয়সাল, মামুন, খোকন, আবছার, সায়েম, রুবেল, খসরু, ইমাম, মাহিন, আরাফাত, খোরশেদ, শাকিন, রাসেল, রনি, বাবু, সাকিব প্রমূখ।