টেকনাফ গোদার বিল সড়কের বেহাল দশা

টেকনাফ সদর ইউনিয়নের গোদারবিল মাদ্রাসা আনাস বিন মালেক সড়কের বেহালদশা। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে বিভিন্ন ঘুর্ণিঝড় ও পরবর্তী ভারী বর্ষণ যেন পিছু ছাড়ছে না এ সড়কে। টেকনাফ পৌরসভার সীমানার পর  থেকে সদর ইউনিয়নের প্রবেশের একমাত্র রাস্তা এটি।
 প্রায় এক কিলোমিটারের সড়কটি পুরোটা খানাখন্দে ভরা। বাইতুর শরফের কবরস্থানের রাস্তার মাথা থেকে এ জনপথের মানুষের দুর্ভোগ ব্যাপক আকার ধারন করেছে। ক্ষত বিক্ষত  ভাঙ্গণে প্রায় ৬ হাজার মানুষের রাস্তাটি ভেঙ্গে-চুরে ক্ষত বিক্ষত হয়ে পড়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, এ গোদারবিল সড়কের  পিচ উঠে তৈরি হয়েছে খানাখন্দের। ভারী বৃষ্টির কারণে ২০১৪ সাল থেকে ভাঙতে শুরু করে সড়কটি। এরপর প্রতিবছর ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সড়কটিতে সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি। পিচঢালাই ও ইটের খোয়া উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত । আবার কোথাও কোথাও সড়কের কোনো চিহ্ন নেই। গাড়ি চলছে হেলেদুলে।
গোদারবিল এলাকার চাকুরীজীবী মো: ইসমাইল বলেন, সড়কের গর্তে পড়ে  রিক্সা উল্টে দুবার দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়েছে। ঝাঁকুনি আর দুর্ঘটনার ভয় নিয়ে প্রতিদিন সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। অনেক সময় রিক্সা আসতে চাই না, তাই হেঁটে চালাচল করতে হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ব্যাটারিচালিত টমটম, রিকশা, অটোরিকশা, জিপ ও ট্রাক  ডাম্পার চলাচল করে। ভাঙা সড়কের কারণে যাতায়াত ভাড়া বেড়ে গেছে।
ওই সড়ক ব্যবহারকারী টেকনাফ ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক রুহুল আমিন বলেন, গত বছরও পৌরসভার বাসস্টেশন থেকে এখানে আসতে রিকশা ভাড়া ছিল ২০ টাকা করে। এখন সেখানে রিকশায় দিনের বেলায় ৫০ ও সন্ধ্যার পর ৭০ টাকা দিতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে প্রতিদিন পায়ে হেঁটে ওই ভাঙা অংশ পার হয়ে যাতায়াত করছেন।
এ বিষয়ে সদর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আবু ছৈয়দ জানান, এই রাস্তার জন্য কোন বরাদ্দ এখনো আসেনি। বিষয়টি পরিষদে অবগত করছি। দেখা যাক, কি হয়।