ইউক্রেনের জয় অব্যাহত, ৮ হাজার বর্গকিমি উদ্ধারের দাবি

বিভিন্ন ফ্রন্টে ইউক্রেনের জয় অব্যাহত রয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বরের পর থেকে একের পর এক অঞ্চল রাশিয়ার হাত থেকে উদ্ধার করছে দেশটি। এখন পর্যন্ত মোট ৮ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা পুনোরুদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করছে তারা। তবে তাদের আসল টার্গেট রুশ বাহিনীকে ইউক্রেন থেকে হঠিয়ে দেয়া। এখন তারা সেই লক্ষ্যেই অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদামির জেলেনস্কি দাবি করেছেন, তাদের সৈন্যরা আট হাজার এলাকা পুনর্দখল করেছে। এর অর্ধেক এলাকায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বাকি এলাকায় নিয়ন্ত্রণ কার্যকর করতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মূলত খারকিভ অঞ্চলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এসব এলাকা পুনরায় দখলে নিয়েছে ইউক্রেনের বাহিনী। যেসব এলাকাকে স্বাধীন করা হয়েছে বলে ইউক্রেন জানিয়েছে, সেখানে স্বস্তি ফিরে আসার পাশাপাশি রাশিয়ার দখলে থাকার সময় নির্যাতন আর হত্যার নানা তথ্য বেরিয়ে আসছে।

স্বাধীন এলাকা বলতে সেসব এলাকাকে বোঝানো হচ্ছে, গত কয়েকমাসে যেসব এলাকা রুশ বাহিনী দখল করেছিল।
খারকিভ অঞ্চলের বালাকলিয়া শহরের বাসিন্দা আর্টেম বিবিসিকে বলেছেন, রুশ বাহিনী তাকে ৪০ ধরে আটকে রেখেছিল এবং বৈদ্যুতিক শক দিয়ে নির্যাতন করেছে। এই এলাকা গত ছয়মাস ধরে দখল করে রেখেছিল রাশিয়া। সেখানকার পুলিশ স্টেশনকে সদরদপ্তর হিসেবে ব্যবহার করতো রুশরা। সেখানেই এসব নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। আর্টেম বলেছেন, অন্যান্য সেল থেকে তিনি আর্তনাদ শুনতে পেতেন। এখন এসব এলাকায় রুশ বাহিনীর নির্যাতনের নানা তথ্য সংগ্রহ করছে ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ।

এমন অবস্থায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে কূটনৈতিকভাবে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আহবান জানিয়েছে জার্মানি। দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ৯০ মিনিট ধরে ফোনে কথা বলেন। সেখানেই তিনি রাশিয়াকে পুরোপুরি সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়া এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য অনুরোধ করেছেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, আগামী কিছুদিনের মধ্যে তারা ইউক্রেনের জন্য নতুন একটি সামরিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে যাচ্ছে। ইউক্রেন অনেকটা পশ্চিমাদের দেয়া অস্ত্র দিয়েই রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রাশিয়ান বাহিনীকে হটিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে ভালো সাফল্য পেয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। তবে এটা যুদ্ধের পালাবদল ঘটাবে কিনা, তা বলা এখনি সম্ভব নয়।