উপমহাদেশের প্রথিতযশা ইতিহাসবিদ, একুশে পদকপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. আবদুল করিমের পঞ্চদশ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চবি ইতিহাস বিভাগের উদ্যোগে ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় চবি কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ২ নং গ্যালারিতে ‘অধ্যাপক আবদুল করিম স্মারক বক্তৃতা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে এবং চবি কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক। ‘অধ্যাপক ড. আবদুল করিম : বাংলার ইতিহাসের প্রবাদপ্রতিম ঐতিহাসিক’ শীর্ষক স্মারক বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক প্রফেসর বর্তমান নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. শরীফ উদ্দিন আহমেদ। চবি ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ আল-মাসুমের সভাপতিত্বে এবং উক্ত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সালমা বিনতে শফিক এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠান আয়োজন কমিটির আহবায়ক চবি ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম। এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উক্ত বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর হায়াত হোসেন। উপাচার্য তাঁর বক্তব্যের শুরুতে প্রফেসর ড. আবদুল করিমের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, প্রফেসর ড. আবদুল করিম ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী, জ্ঞানী, প্রজ্ঞাবান এবং ধীশক্তি সম্পন্ন উপমহাদেশের একজন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ। অসংখ্য গ্রন্থ প্রণেতা এ প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ একাধারে ছিলেন শিক্ষক-গবেষক, প্রাবন্ধিক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী সর্বোপরি একজন বিদগ্ধ পন্ডিত মানুষ। তাঁর পান্ডিত্যপূর্ণ লেখা ইতিহাসের ছাত্র-ছাত্রী ছাড়াও সংশ্লিষ্ট সকল মহলের জ্ঞান-গবেষণার পথ নির্দেশক হিসেবে কাজ করছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সহ বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালীন এ গুণী শিক্ষাবিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে অনন্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। এ মহান গুণী ব্যক্তির আদর্শ ধারণ, লালন ও চর্চার মাধ্যমে নিজেদের জ্ঞান ভান্ডার অধিকতর সমৃদ্ধ করার জন্য মাননীয় উপাচার্য তরুণ শিক্ষক-গবেষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান। অনুষ্ঠানে চবির সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং সূধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।