পাহাড়ে বসবাসরত ৮০ শতাংশই বহিরাগত

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেছেন, পাহাড়ে অবৈধভাবে ও ঝুঁকি নিয়ে যারা বসবাস করছে তারা প্রত্যেকে ভাড়া দিয়ে থাকছে। কেউ দুই হাজার, পাঁচ হাজার, আঠারো হাজার টাকা দিয়েও বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছে।

কেউ নিজে দখল নিয়ে থাকছে না। পাহাড়ে যারা বসবাস করছে তাদের ৮০ শতাংশই বহিরাগত। চট্টগ্রামের স্থানীয় কেউ নেই।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকাল ১১টার দিকে সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

পাহাড়ে বসবাসকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশের আইনকানুন সবাইকে মেনে চলতে হবে। যে যেভাবে পারে সেভাবে বসবাস করতে পারবে না। সরকার দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আপনারাও সে উন্নয়নের সঙ্গী হোন।

জঙ্গল সলিমপুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জঙ্গল সলিমপুর নিয়ে একটা মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে স্পোর্টস কমপ্লেক্স, কেন্দ্রীয় কারাগার স্থানান্তর করা হবে, মডেল মসজিদ হবে, আইকনিক মসজিদ, জাতীয় তথ্যকেন্দ্র, নভোথিয়েটার ও ইকোপার্ক হবে। জঙ্গল সলিমপুরে কেউ অবৈধভাবে থাকতে পারবে না। জঙ্গল সলিমপুর নিয়ে যারা মামলা মোকদ্দমা করছেন তাদের বলতে চাই, সরকারের চেয়ে ক্ষমতাশালী কেউ নেই। জঙ্গল সলিমপুরে যারা বসবাস করছেন, তাদের পুনর্বাসন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আপনারা যারা বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানার মালিক- কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি দেওয়ার আগে তাদের জাতীয় পরিচয় পত্রসহ সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করুন। হোক সে দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরত।

‘সার্কিট হাউস, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের পরীর পাহাড়ের সমস্ত স্থাপনা, উপজেলা ভূমি অফিস, তহশিলদার অফিসসহ সব সরকারি অফিস আমরা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় এনেছি। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে সিসিটিভির আওতায় আসে সেক্ষেত্রে আপনারা আন্তরিক হবেন’।

জেলা প্রশাসক বলেন, ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়া ভুলে গিয়ে দেশের জন্য কাজ করেন। যেমনিভাবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করছেন। নিজের জন্য কখনো তিনি চিন্তা করেননি। দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য কাজ করছেন। সরকারি নিয়ম মেনেই কোরবানির পশুর হাট বসবে। যত্রতত্র কোরবানির পশুর হাট বসালেই ব্যবস্থা। পশুর হাটকেন্দ্রিক কোনও ধরনের চাঁদাবাজি বরদাস্ত করা হবে না।