সরব খাগড়াছড়ির ২৩টি পশুর হাট

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে খাগড়াছড়িতে জমজমাট হয়ে ওঠেছে পশুর হাট। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দেশি গরু, মহিষ, ছাগলে সয়লাব হাট-বাজারগুলো।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে সরব জেলার ২৩টি পশুর হাট।

ইজারাদাররা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে বেচাকেনা। তবে, হাটে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। অনেকেই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।

কোরবানিকে ঘিরে জেলার ছোট-বড় প্রায় সাড়ে পাঁচ শতাধিক খামারি পশুর চাহিদা জোগান দিচ্ছেন। প্রাকৃতিক খাবারের ওপর নির্ভর পাহাড়ের এসব পশু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছে। দামও রয়েছে নাগালের মধ্যে।

খাগড়াছড়ি হাটবাজারের ইজারাদার মো. জামাল হোসেন বলেন, ‘করোনার কারণে শুরুর দিকে পশুর বেচাকেনা কম ছিল। দামও কম ছিল। তবে এখন ক্রেতাদের চাহিদা বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরাও এখান থেকে পশু নিয়ে গেছে। এ বছর বেচাকেনাও ভালো। এবার খাগড়াছড়ির ৯টি উপজেলার ২৩টি হাটবাজারে পশু কেনাবেচা হচ্ছে। পশুর রোগ নির্ণয়ের জন্য ২৩টি মেডিক্যাল টিম কাজ করেছে। এ বছর খাগড়াছড়িতে গরু ও ছাগল মিলে কোরবানি পশুর চাহিদা প্রায় সাড়ে ১০ হাজার। মজুদ আছে সাড়ে ১৪ হাজার।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নুরুল আবছার বলেন, পশুর হাটগুলোতে সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি মানে আমরা সেই দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আর সব হাটবাজারে আমাদের মেডিক্যাল টিম রয়েছে। যাতে ক্রেতারা সুস্থ পশু কিনতে পারেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাহাড়ের গরু ও ছাগলের বিশেষ কদর রয়েছে। কারণ এখানকার পশুগুলোকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবারে বড় করা হয়।