বান্দরবান জেলায় প্রায় সব রোগীই এখন সুস্থতার পথে

নাইক্ষংছড়ি উপজেলায় করোনা আক্রান্ত পাঁচজনের মধ্যে দুজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আগেই। বুধবার ছাড়পত্র নিয়ে দুই সন্তানসহ হাসপাতাল ছেড়েছেন মা আলম আরা। তবে তাদের অন্তত ১৪দিন পর্যবেক্ষনে রাখা হবে। এ উপজেলায় আক্রান্ত সকলেই বাড়ি ফিরেছেন। অন্যদিকে বান্দরবান জেলায় প্রায় সব রোগীই এখন সুস্থতার পথে। নতুন আক্রান্ত নাহলে সহসাই জেলাটি করোনামুক্ত হবে।

বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. অং সুই মারমা বলেন, ‘জেলায় প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়া নাইক্ষংছড়িকে আপাতত করোনামুক্ত বলা যায়। কম্বনিয়া গ্রামে একই পরিবারের চারজন করোনা আক্রান্ত হলে যে ভীতির সঞ্চার হয়েছিল, তা আর নেই। হাসপাতাল ছাড়লেও তাদের আরো ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।’

সূত্র জানায়, করোনা আক্রান্ত হিসবে প্রথম শনাক্ত হওয়া আবু ছিদ্দিক সুস্থ হয়েছেন কয়েকদিন আগে। তার পরিবারের অন্য তিনজন আপাতত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন। অন্যদিকে পুলিশ সদস্য এএসআই আবু জাফর করোনামুক্ত হয়েছেন ইতিমধ্যে।

থানচিতে করোনা রোগী শৈক্যচিং মারমাও সুস্থ হয়ে উঠেছেন। নমুনা পরীক্ষায় পরপর দুবার নেগেটিভ ফল আসায় বৃহস্পতিবার তাকে রিলিজ দেয়া হবে বলে হাসপাতাল সংশ্লিস্টরা জানান। তখন থানচি উপজেলাও করোনামুক্ত হবে।

আর লামা উপজেলায় তিনজন করোনা রোগীর মধ্যে রাশেদা বেগম নামে একজন বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে সেখানে দুজন চিকিৎসাধীন আছেন। সব মিলিয়ে বান্দরবানে অধিকাংশ রোগী করোনামুক্তির পথে।