সাংসদ মোছলেম উদ্দিনের সাথে বোয়ালখালী পূজা উদযাপন পরিষদের মতবিনিময়
চট্টগ্রাম ৮ আসনের মাননীয় সাংসদ মোছলেম উদ্দিন বলেছেন, বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। সমাজে অন্যায়, অবিচার, অশুভ ও অসুরশক্তি দমনের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ পূজা হয়ে থাকে। আবহমানকাল ধরে এ দেশের হিন্দু স¤প্রদায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে নানা উপচার ও অনুষ্ঠানাদির মাধ্যমে দুর্গাপূজা পালন করে আসছে।
সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির ঐতিহ্য অক্ষুণ রেখে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহŸান জানিয়ে সাংসদ আরো বলেন, হিন্দু স¤প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে আমি দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সকল নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু স¤প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি আজ সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সব নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।
আসন্ন শারদীয়া দূর্গোৎসব উপলক্ষে বোয়ালখালী উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় গত ৪ অক্টোবর সাংসদের লালখান বাজার হাইলেভেল রোডস্থ বাসভবনে সংগঠনের সভাপতি শ্যামল বিশ্বাস ও সাঃ সম্পাদক অধীর দে’র নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি সমীর চক্রবর্তী, রুবেল কুমার শীল, ডা. সুকুমার নাথ, মিহীর বিশ্বাস, যুগ্ম সা. সম্পাদক ডা. শ্যামা প্রসাদ দাশগুপ্ত শ্যামল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আচার্য্য, প্রচার সম্পাদক মিথুন চৌধুরী রনি, মহিলা সম্পাদিকা রুমা নাথ, সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা দিপ্তী মল্লিক, সদস্য রুবেল চৌধুরী, পৌরসভা সভাপতি শ্রীবাস বিশ্বাস, শাকপুরা ইউনিয়ন সভাপতি শ্যামল বিশ্বাস টিসু মেম্বার, সা. সম্পাদক জুয়েল চৌধুরী, পশ্চিম গোমদন্ডী ইউনিয়ন সভাপতি সুজন দাশ, সা. সম্পাদক প্রবাল শীল, সাংগঠনিক সম্পাদক চম্পক চক্রবর্তী, সদস্য বিপ্লব দে, কধুরখীল ইউনিয়ন সভাপতি মৃনাল কান্তি বিশ্বাস টিটু মেম্বার, আহল্লা কড়লডেঙ্গা ইউনিয়ন সভাপতি দুলাল বিশ্বাস, সা. সম্পাদক কাজল চক্রবর্তী, চরণদ্বীপ ইউনিয়ন সভাপতি মনোরঞ্জন দাশ, আমুচিয়া ইউনিয়ন সা. সম্পাদক লিটন দাশ, সারোয়াতলী ইউনিয়ন সা. সম্পাদক বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়ন সভাপতি সুমন সুত্রধর, মহিউদ্দীন, মাহবুব, আসরাফুল প্রমূখ।
সভায় পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ দূর্গা পূজার তিন দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা, মেধস আশ্রমকে জাতীয় তীর্থস্থান ঘোষণা, ভূবন বিশ্বাসের পুল হইতে মেধস আশ্রম পর্যন্ত সড়ক সংস্কারকরণ, মেধস আশ্রমসহ বোয়ালখালীর সকল মঠ মন্দিরের বেদখল হওয়া ভূমি উদ্ধার, জেলে-তাতীঁ, কামার-কুমার ও খেটে খাওয়া হত-দরিদ্রের কাছে সরকারি সহায়তা বৃদ্ধির জন্য দাবী জানানো হয়।