চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় চবি মেরিন সায়েন্সস এন্ড ফিশারিজ অনুষদ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল ৯.৩০টায় চাকসু ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বর্ণাঢ্য এক আনন্দ শোভাযাত্রা প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও মাননীয় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন। আলোচনা সভায় “গণমুখী সাংবাদিকতার প্রত্যাশা: রাষ্ট্র, সমাজ ও সাংবাদিকের দায়-দায়িত্ব” বিষয়ের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোরশেদুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, চবি সাংবাদিক সমিতির সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। এ সংগঠনের সাবেক সদস্যরা মূল ধারার সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। অনেকেই ভালো ভালো জায়গায় রয়েছে তাদের সকলের সাংবাদিকতার হাতেখড়ি এ সংগঠনের মাধ্যমে। সাংবাদিকতা একটি মহৎ ও ইতিবাচক পেশা। এ পেশার মাধ্যমে মানুষের কল্যাণ করার বহু সুযোগ রয়েছে। সময়ের পরিক্রমায় সাংবাদিকতার ধরণ পাল্টেছে। এখন সোশ্যাল মিডিয়া জনপ্রিয় হওয়ায় সাংবাদিকতার ধরণও পরিবর্তন হয়েছে। উপাচার্য বলেন, সাংবাদিকদের দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সত্য তুলে ধরতে হবে। উপাচার্য সাংবাদিক সমিতির সফলতা কামনা করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার যে মূল লক্ষ্য; সেটি পূরণে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সমাজ, রাষ্ট্রের প্রতি সাংবাদিকদের দায় রয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষ দেখা যায় সাংবাদিকরা সেসব দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন। সাংবাদিকদের উচিত সঠিক তথ্য অনুসন্ধান করে সংবাদ পরিবেশন করা। সবার সামনে সত্য তুলে ধরা। কিন্তু সেটা অনেক ক্ষেত্রে হয়ে উঠে না। এজন্য সাংবাদিকদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।
চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনার ক্ষেত্রে চবি সাংবাদিক সমিতির ভুমিকা রয়েছে। সাংবাদিকতায় মুখরোচক তথ্য দিয়ে টিকে থাকা যায় না।
মানুষের মনে জায়গা করে নিতে হলে সত্য সংবাদ তুলে ধরতে হবে। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা এখন জাতির দাবি। গঠনমূলক সাংবাদিকতার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান উপ-উপাচার্য (প্রশাসন)।
আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী, চবি প্রক্টর প্রফেসর ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী, চবি ছাত্র-ছাত্রী পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো. আনোয়ার হোসেন, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. এ.কে.এম. মাহফুজুল হক (মাহফুজ পারভেজ), দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন মিঝি, অতীশ দীপঙ্কর হলের প্রভোস্ট এ.জি.এম নিয়াজ উদ্দিন, চবি অফিস ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, চবি নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. খাদিজা মিতু, সমাজতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, সহকারী প্রক্টর প্রফেসর আককাছ আহমদ, চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক ও মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাজমুল হোসাইন।
চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি জানে আলমের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ শুভ্রের সঞ্চালনায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন চবি সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি ইমরান হোসাইন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু, চাকসুর ভিপি ইব্রাহীম হোসেন রনি, চবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আলী, চবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়, চবি শাখা ছাত্র মজলিসের সভাপতি সাকিব মাহমুদ রুমি, চবি শাখা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি আবদুর রহমান, চবি বিপ্লবী ছাত্র ঐক্যের আহ্বায়ক তাহসান হাবিবসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আমন্ত্রিত শিক্ষকবৃন্দ, চবিসাসের সাবেক-বর্তমান নেতৃবৃন্দ, বর্তমান সদস্যবৃন্দ, কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ, ছাত্র সংগঠন-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, চাকসু ও হল সংসদের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।











