‘আইনের শাসনের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে সরকার কাজ করছে’

চট্টগ্রাম সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. হেমায়েত উদ্দিন আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য একটি স্বাধীন, শক্তিশালী বিচার বিভাগ থাকা অপরিহার্য। আইনের শাসনের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে সরকার কাজ করছে। বিচারপ্রার্থীদের বিচারিক দূর্ভোগ কমাতে সরকার ই-ফ্যামেলি কোর্ট চালুসহ দ্রুত সময়ে ন্যায় বিচার নিশ্চিতকল্পে নতুন আদালত সৃজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালত সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বিচার বিভাগীয় সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্মেলনে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়ের চট্টগ্রাম জজশীপের মামলা দায়ের ও নিষ্পত্তি পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেন অর্থঋণ আদালত-১ এর যুগ্ম জেলা জজ মো. হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম ম্যাজিস্ট্রেসীতে মামলা দায়ের ও নিষ্পত্তি পরিসংখ্যান উপস্থাপন করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুল হারুন। সম্মেলনে ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তিতে চিহ্নিত প্রতিবন্ধকতা সংক্রান্ত বিষয়াদি উপস্থাপন করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাখাওয়াত হোসেন এবং দেওয়ানী মোকদ্দমা নিষ্পত্তিতে চিহ্নিত প্রতিবন্ধকতা সংক্রান্ত বিষয়াদি উপস্থাপন করেন পটিয়া আদালতের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ নাজমুল হোসেন চৌধুরী। উক্ত সম্মেলনে সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রমে জেলা লিগ্যাল এইড অফিস বিষয়ক পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেনটেশন করেন চীফ লিগ্যাল এইড অফিসার (বিচারক) রূপন কুমার দাশ।

সিভিল জজ আব্দুল্লাহ আল হাসিবের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহাগ তালুকদার, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দা হাফছা ঝুমা সহ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাবৃন্দ।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি হতে অক্টোবর পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা জজশীপে ১৩ হাজার ৪৪৭ টি দায়রা মামলা রুজু হয় এবং একই সময়ে ১৩ হাজার ৪১০টি দায়রা মামলা নিষ্পত্তি করা হয়। এ সময়ে দেওয়ানী মোকদ্দমা দায়েরের সংখ্যা ৪৪ হাজার ৮২০ টির বিপরীতে নিস্পত্তিকৃত দেওয়ানী মোকদ্দমার সংখ্যা ৫৮ হাজার ৫২ টি। চট্টগ্রামের ৩টি অর্থঋণ আদালত হতে চলতি বছরের জানুয়ারি হতে অক্টোবর মাস পর্যন্ত অর্থ আদায়ের মোট পরিমান নয়শত সত্তর কোটি পঁচাশি লক্ষ ছিয়ানব্বই হাজার আটশত ত্রিশ টাকা। লিগ্যাল এইড অফিস, চট্টগ্রাম হতে বিগত দশ মাসে ১ হাজার ৫৪০টি প্রি-কেইস এবং ১২১টি পোস্ট কেইস আবেদনের প্রেক্ষিতে মেডিয়েশনের মাধ্যমে আপসে নিস্পত্তি হয়েছে মোট ১ হাজার ২৭৮টি বিরোধ। এছাড়া ২০২৫ সালের জানুয়ারি হতে অক্টোবর পর্যন্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোট দায়েরকৃত মামলা সংখ্যা ২৭ হাজার ৫০০টি এবং এ সময়ে নিস্পত্তি হয়েছে প্রায় ২২ হাজার মামলা।