আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলেন মেহজাবীন

অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীসহ দুইজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছেন। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে করা মামলার নথিতে দেখা গেছে ঠিকানা ও বাবার নাম অভিনেত্রী মেহজাবীনেরই।

তবে মামলার বাদী সংবাদ মাধ্যমে মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির খবর জানানোর পর থেকেই লাপাত্তা। মামলার নথিতে দেয়া বাদীর আইনজীবীর নম্বরও ‘সাসপেন্ডেড’।

মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রোববার (১৬ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মেহজাবীন লিখেছেন, এটি ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’। দীর্ঘ একটি পোস্ট দিয়ে অভিনেত্রী বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন।

মেহজাবীন পোস্টে বলেন, আমি মেহজাবীন চৌধুরী। আজ একটি ভুয়া ও মিথ্যা মামলার সংবাদ দেখে আমি বিস্মিত। আমি মনে করি, বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গুজব ছাড়া কিছু নয়। এই ধরনের কোনো ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমি সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জড়িত নই। যে বা যারা এমন ভিত্তিহীন মামলা করেছেন, তাদের কাউকে আমি চিনি না।

তিনি আরও বলেন, যারা আমাকে চেনেন, তারা জানেন আমি কেবল আমার অভিনয় ও পেশাগত দায়িত্বে সর্বদা নিবেদিত। আমি এমন কোনো ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে নেই, যেখানে আইনি জটিলতায় জড়ানোর প্রশ্ন আসে।

একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি দেশের আইন, নিয়মনীতি ও সামাজিক দায়িত্বে বিশ্বাসী। ইতোমধ্যে আমার আইনজীবী যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন, যাতে এসব গুজব ও মিথ্যা প্রচারণা বন্ধ হয় এবং ভবিষ্যতে কেউ আর এই ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিছু করতে না পারে, পোস্টে লেখেন তিনি।

এই অভিনেত্রী আরও লেখেন, একজন শিল্পী ও সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি সবসময় দেশের আইন, নীতি ও সামাজিক মূল্যবোধ মেনে চলেছি। গত এক যুগের বেশি সময় ধরে মিডিয়ায় পরিশ্রম ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে আসছি, যার সাক্ষী আমার দর্শক, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

সহকর্মী গণমাধ্যমকর্মীদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আমি আমার সহকর্মী গণমাধ্যমকর্মীদের অনুরোধ করছি, ভিত্তিহীন কোনো তথ্য যাচাই ছাড়া প্রকাশ করবেন না। এবং আমার সকল শুভাকাঙ্ক্ষী, ভক্ত ও পরিচিতজনদের বলবো – আপনাদের ভালোবাসা আর আস্থাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে সত্যের পাশে থাকুন।

এর আগে মামলার বাদী আমিরুল ইসলাম রোববার (১৬ নভেম্বর) সাংবাদিকদের জানান, ব্যবসায় অংশীদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২৭ লাখ টাকা ‘আত্মসাৎ করা ও হত্যার হুমকি দেয়ার’ অভিযোগে মেহজাবীন চৌধুরী এবং তার ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত। ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক আফরোজা তানিয়া গত ১০ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।