দক্ষিণ কোরিয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গোয়েন্দাপ্রধান গ্রেফতার

২০২৪ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন ঘোষণার ঘটনায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী হোয়াং কিয়ো-আন এবং জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএস) সাবেক প্রধান চো তে-ইয়ং-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা ইয়নহ্যাপ জানিয়েছে, বুধবার (১২ নভেম্বর) হোয়াং-কে ‘বিদ্রোহে উসকানি’ দেওয়ার জন্য এবং চো তে-ইয়ং-কে ‘গোয়েন্দা আইনের লঙ্ঘন ও দায়িত্বে অবহেলার’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।

সামরিক আইন ঘোষণার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী হোয়াং কিয়ো-আন জাতীয় পরিষদের স্পিকারকে গ্রেপ্তার করতে ফেসবুকে আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং ‘নির্বাচনী জালিয়াতদের নির্মূলের’ দাবি তুলেছিলেন।

অন্যদিকে, সাবেক গোয়েন্দাপ্রধান চো তে-ইয়ং-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, তিনি সামরিক আইন ঘোষণার পরিকল্পনার বিষয়ে অবগত থাকলেও তা জাতীয় পরিষদকে জানাননি।

এদিকে, সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল বর্তমানে কারাগারে বিচারাধীন আছেন। তার বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, তিনি উত্তর কোরিয়ায় গোপনে ড্রোন পাঠিয়ে সংঘাত উসকে দিতে চেয়েছিলেন যাতে নিজের সামরিক শাসনকে বৈধতা দিতে পারেন।

ইউন ক্ষমতায় থাকাকালীন সেনা পাঠিয়ে সংসদ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছিলেন, তবে ব্যর্থ হন। এই ঘটনায় তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে ‘প্রথম কর্মরত অবস্থায় গ্রেপ্তার হওয়া প্রেসিডেন্ট।’ বর্তমানে তার স্ত্রী কিম কিয়ন-হিও দুর্নীতির মামলায় কারাগারে আছেন।

সূত্র: আল জাজিরা