পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত হলেন করোনা যোদ্ধা সুলতানুল

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মৃত্যুবরণকারী পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুলতানুল আরেফীনকে (৪৪) তার গ্রামের বাড়ি জামালপুর সদরের মেষ্টা ইউনিয়নের হাজিপুর ফকিরপাড়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে।

আজ শনিবার বিকেলে জেলা পুলিশের গার্ড অব অনার ও আইইডিসিআরের নিয়ম অনুসরণ করে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, এসআই সুলতানুল আরেফিন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পশ্চিম বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর তিনি রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

ঢাকা থেকে ডিএমপির একটি লাশবাহী গাড়িতে করে সুলতানুল আরেফিনের মরদেহ শনিবার বিকেল পৌনে পাঁচটায় তার গ্রামের বাড়ি জামালপুর সদরের মেষ্টা ইউনিয়নের হাজিপুর ফকিরপাড়া গ্রামে আনা হয়। আইইডিসিআরের নিয়ম অনুসরণ করে আগে থেকেই কবর খোঁড়া ও জানাজাসহ মরদেহ দাফনের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখে জামালপুর সদর থানা পুলিশ। তার মরদেহ গ্রহণ করার পর তাকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার জানান জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেমুজ্জামান ও ছয়জন পুলিশ সদস্য। জানাজা নামাজে ইমামতি করেন মৃত এসআই সুলতানুল আরেফিনের কনিষ্ঠ সহোদর মেহেদী ইসলাম এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন মনোনীত আরো ছয়জন মুসল্লি জানাজায় অংশ নেন। জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

পারিবারিক সূত্র জানায়, এসআই সুলতানুল আরেফিন ঢাকায় মিরপুরে পুলিশ কোয়াটারে একা বসবাস করতেন। তার ডাক নাম হীরা। এই নামেই গ্রামের বাড়িতে তিনি সবার কাছে পরিচিত ছিলেন। ময়মনসিংহে পুলিশ লাইন্স এলাকায় তার নিজস্ব বাসায় থাকতেন স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, তিন মেয়ে ও এক ছেলে। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে শোকার্ত মনোয়ারা বেগম আজ শনিবার তার স্বামীর গ্রামের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন।

জানাজা নামাজের ঘণ্টা খানেক আগে জামালপুরের পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন ওই বাড়িতে গিয়ে সুলতানুল আরেফিনের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েসহ নিকটাত্মীয়দের প্রতি সমবেদনা এবং এসআই সুলতানুল আরেফিনের আত্মার শান্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।